দেশের হয়ে খেলতে বীরভূমের গ্রাম থেকে আমেরিকায় চলেছেন 'প্রতিবন্ধী' পাপিয়া

দেশের হয়ে খেলতে  বীরভূমের গ্রাম থেকে আমেরিকায় চলেছেন 'প্রতিবন্ধী' পাপিয়া

শারীরিক ভাবে সে 'নিখুঁত' নয়। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। কিন্তু পায়ে ফুটবল (Football) পেলে সে সব ভুলে গিয়ে দুরন্ত হয়ে ওঠেন ১৯ বছরের পাপিয়া। সেই খেলার জোরেই এবার দেশের হয়ে স্পেশ্যাল অলিম্পিক্সে খেলতে চলেছেন বীরভূমের এই কন্যে। আগামী জুলাইয়ে সে জন্যই পাড়ি দেবেন আমেরিকায়। সেখানকার মিশিগান শহরে ভারতের হয়ে খেলবেন পাপিয়া।

বীরভূমের সিউড়ি থানার কাঁটাবুনি এলাকার বাসিন্দা পাপিয়া মুর্মুকে ইতিমধ্যেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী এবং সিউড়ি থানার পুলিশ। বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, পাপিয়ার জন্য আমরা গর্বিত। ও নিশ্চয়ই আন্তর্জাতিক স্তরে দেশ এবং রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করবে। পাপিয়াকে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি খেলার পোশাক, ফুটবল (Football) ইত্যাদি সামগ্রীও দেওয়া হয়।

বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, পাপিয়াকে নিয়ে গর্বিত। জেলা প্রশাসন সবরকমভাবে তাঁকে সাহায্য করবে। সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী পাপিয়া। গ্রামের কোচ মৃণাল মালের হাত ধরে তাঁর ফুটবল (Football) খেলা শুরু। বাঁশ দিয়ে গোলপোস্ট বানিয়ে, খালি পায়ে খেলতে খেলতেই তাঁর বড় হয়ে ওঠা।

গত কয়েকবছর ধরেই রাজ্যস্তরের একাধিক ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছেন পাপিয়া। কিন্তু কেউ ভাবতেও পারেননি, বীরভূমের ছোট্ট আদিবাসী পাড়া থেকে আমেরিকার মিশিগানে পৌঁছে যাবেন পাপিয়া! প্রতিনিধিত্ব করবেন দেশের! ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন খেলোয়াড়দের নিয়ে ১৮ জনের একটি দল তৈরি হয়েছিল।

জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের উদ্যোগে বীরভূমের চারজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ফুটবলারের নাম পাঠানো হয়েছিল। পাপিয়াই কেবল সুযোগ পান বীরভূম থেকে। রাজ্যের আরও দুই তরুণী ফুটবলার (Football) রয়েছেন সেই জাতীয় দলে। সমস্ত রকম বাধাবিপত্তিকে গোল দিয়ে ইতিমধ্যেই দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছেন পাপিয়া। এবার বিদেশের মাটিতে গোল করে দেশকে জেতাতে পারেন কিনা, সেটাই দেখার।

পাপিয়ার বাবা শিবনাথ মুর্মু গ্রামেই একটি মুদিখানার দোকান চালান। মা বালিকা মুর্মু গৃহবধূ। বাড়ি থেকে বরাবরই উত্‍সাহ পেয়েছেন পাপিয়া। তাঁকে নিয়ে গর্বের শেষ নেই পরিবারের। গোলের স্বপ্নে বিভোর পাপিয়া বলেন, 'ফুটবল (Football) আমার জীবন। দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলা আমার স্বপ্ন। সেই স্বপ্নই সত্যি হতে চলেছে।'

পাপিয়ার কোচ মৃণালবাবু বলেন, পাপিয়া ছোটবেলা থেকেই ফুটবল ভালবাসত। শারীরিকভাবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন হলেও তা কোনওদিন ফুটবল খেলায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। ফেব্রুয়ারিতে অনুপ্রবেশকারী, মে মাসে ভারতীয়, চোয়াল চাপা লড়াই আকলরানির