পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা

মেদিনীপুর জেলা Medinipur Zilla অবিভক্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা ছিল।   ২০০২ সালে এটি পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় Paschim Medinipur Zilla বিভক্ত হয়। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত West Medinipur পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ২০০২ সালের ১ জানুয়ারী ভারতের তৎকালীন বৃহত্তম জেলা মেদিনীপুর জেলার বিভাজনের মাধ্যমে নির্মিত হয়।

এই বিভজনের পরে জেলার ভৌগোলিক অঞ্চলের আয়তন হয় ৯,২৯৫.২৮ বর্গ কিমি এবং এটি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার পরে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহৎ জেলা। ২০১১ সালের হিসাবে দক্ষিণ ২৪-পরগনা (৫.৮২ মিলিয়ন) এবং মুর্শিদাবাদ (৫.১৩ মিলিয়ন) এর পরে গ্রামীণ জনসংখ্যার (৪.৪৮ মিলিয়ন) দিক দিয়ে এটি তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

এটি ২০১১ সালের হিসাবে জেলাতে বসবাসকারী উপজাতির জনসংখ্যার শতাংশের (১৪.৮৭%) দিক থেকে জলপাইগুড়ি (১৮.৮৭), পুরুলিয়া (১৮.২৭%) এবং দক্ষিণ দিনাজপুর (১৬.১২%) পরে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। ২০১১ এর আদমশুমারি অনুযায়ী এই জেলার জনসংখ্যা ৫৯,৪৩,৩০০ জন। এরমধ্যে ৫১.০২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৮.৯৭ শতাংশ মহিলা।

বিস্তৃতভাবে বলতে গেলে, জেলার দুটি প্রাকৃতিক বিভাগ রয়েছে। বাঁকুড়া থেকে বালাসোর পর্যন্ত এনএইচ ১৪ এবং এনএইচ ১৬ (পুরাতন নম্বর এনএইচ ৬০) জেলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে এবং এই জাতীয় সড়ক দুটি মোটামুটি ভাবে দুটি প্রাকৃতিক বিভাগের মধ্যে বিভাজক রেখা।

ঐতিহাসিক মতে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন (তৎকালীন দন্দভুক্তি) এলাকায় রাজা শশাঙ্কের রাজত্বের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।  ঐ সময়কালে তাম্রলিপ্ত সাম্রাজ্যের অংশ ছিল এই জেলার অনেকাংশ। ১০২১-১০২৩ খ্রিষ্টাব্দে রাজা রাজেন্দ্র ঢোলের আক্রমণের পর তাম্রলিপ্ত সাম্রাজ্যের পতন হয়।

এরপর ১১৩৫ খ্রিষ্টাব্দে রাজা অনন্ত বর্মণ মেদিনীপুরের (তৎকালীন মিধুনপুর) দখল নেন।  খ্রিষ্টীয় ১৩০০-১৫০০ শতাব্দীতে সারা বাংলায় মুসলিম সাম্রাজ্যের বিস্তার হলেও বিষ্ণুপুরের হিন্দু রাজা এবং জমিনদারেরা মেদিনীপুরের সুবিশাল অংশে হিন্দু সাম্রাজ্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৫০০ শতাব্দীর শুরুতে মেদিনীপুর মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে চলে আসে।

১৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দে জব চার্নক মেদিনীপুরের হিজলিতে আসেন।  ১৭০০ শতাব্দীর মধ্যান্তরে মারাঠারা একাধিক বার মেদিনীপুরে আক্রমণ ও লুঠতরাজ করে। ১৭৫২ খ্রিষ্টাব্দে পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশ মারাঠা সাম্রাজের অধীনে চলে যায়। এরপর ব্রিটিশ আমলে মেদিনীপুর একাধিক কৃষক বিদ্রোহ ও স্বাধীনতা সংগ্রামী আন্দোলনের সাক্ষী থেকেছে।

এই রাস্তার পূর্বদিকে মাটি উর্বর পলল এবং অঞ্চল সমতল এবং পশ্চিমে, ছোটা নাগপুর মালভূমি ধীরে ধীরে লাল হয়ে যায়, যা ল্যাটারাইট শিলা এবং মাটি দিয়ে একটি কৃষিকাজে অনউপযোগী অঞ্চল তৈরি করে। জেলাতে ভূপ্রকৃতি পশ্চিমে ঘন শুকনো পাতলা বন থেকে পূর্বের প্রাকৃতিক জলাভূমিতে পরিবর্তিত হয়।

পশ্চিম মেদিনীপুরের গগনেশ্বর গ্রামে এলিয়াস কুরুম্বেরা দুর্গ পলল অংশটি আরও দুটি বিভাগে বিভক্ত হতে পারে। প্রথমত, এটি হুগলি নদী এবং রুপনারায়ণ নদের নিকটবর্তী খাঁটি বদ্বীপদেশের একটি ভূমিভাগ, যা অধীনে অসংখ্য নদী এবং জলরাশি দ্বারা বিভক্ত করা হয়।

দ্বিতীয়ত, এটি জেলার পূর্বে বাকি অংশ, এটি একঘেয়ে ধানের চাষে উপযুক্ত সমভূমি, যেখানে অসংখ্য জলপথ এবং জোয়ারের জলে পুষ্ট খাঁড়ি রয়েছে। জোয়ারের জলে পুষ্ট খাঁড়িগুলি জমিতে বন্যা রোধে বাঁধের সাথে সারিবদ্ধভাবে আবদ্ধ। বেশিরভাগ অঞ্চল জল-লগ্ন।

ভারতবর্ষের মাটিতেই পথচলা শুরু হয় হিন্দু – জৈন- বৌদ্ধ ধর্মের। কালক্রমে সব ধর্মের চড়াই-উতরাই হয়েছে। সেই ষষ্ঠ শতক থেকে বারংবার পুনর্নির্মাণের মধ্যে দিয়ে সাক্ষী হয়ে রয়ে গেছে এই মোগলমারি৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের অখ্যাত এক গ্রামের পথের পাশে….. ক’জনই বা আর বুঝবে এর গুরুত্ব? বাঁচিয়ে রাখতে হবে যে! পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন তাই দেখে আসা উচিৎ, এই জন্য যে আমাদের অবহলোর দরুণ কত জানা জিনিসও আমাদের কাছে অজানা হয়েই রয়ে যায়।

চিনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ এর বিবরণীতেও এই বৌদ্ধবিহারের উল্লেখ রয়েছে। ২০০৩-০৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-গবেষক ডঃ অশোক দত্তের তত্ত্বাবধানে খননকার্য প্রথম শুরু হয়, যদিও তার আগে ময়ূরভঞ্জ (অধুনা ওড়িশা) এর আর্কিওলজিকাল সার্ভেতে এর কথা উল্লেখ আছে, হয়তো সেটিই সূত্র হিসেবে কাজ করে।

এখান থেকে অদূরে যেই কুড়ুমবেড়ার গল্প এতক্ষণ করলাম, সেখানে আফগান সুলতান দখল নেওয়ার সময় এই মোগলমারির সেনা ছাউনি থেকেই ঔরঙ্গজেবের সেনাপতি তাকে আক্রমণ করেন, পরে ঔরঙ্গজেবের মুদ্রার হদিশ মেলে এখানে। পশ্চিমবঙ্গে আবিষ্কৃত বৌদ্ধবিহারগুলির মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড়।

খননে পাওয়া গেছে প্রায় ৫২ ধরণের নকশাযুক্ত ইঁট, রাজা সমাচার দেবের মিশ্রধাতুর মুদ্রা, স্বর্ণ লকেট এবং মুকুট, বুদ্ধ-বোধিসত্ত্ব-বৌদ্ধ দেবদেবীর ব্রোঞ্জ ভাস্কর্য, স্টাকোর কারুকার্য মণ্ডিত নক্সাযুক্ত দেওয়ালঅলংকরণ ও ভাস্কর্য, মৃৎপাত্র, প্রদীপ প্রভৃতি জিনিস। গুপ্ত পরবর্তী ব্রাহ্মি অক্ষর যুক্ত সীল ও সীলমোহরও আবিষ্কৃত হয়েছে এইখানে।

বর্তমানে খননকার্য স্থগিত আছে, মিউজিয়ামের ওখানের একজন দাদা বললেন এখন আর খননের পারমিশন নেই। বেশিরভাগই এখানে এখন আর নেই। কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে পাশে একটা ছোট্ট মিউজিয়াম আছে যাতে খননে প্রাপ্ত কিছু জিনিস দেখতে পাওয়া যায়।

স্থানীয় তরুণ সংঘের উদ্যোগে সে মিউজিয়াম দেখানোর ব্যবস্থা থাকে। আমরা যখন গিয়ে পৌঁছেছি, তখন চাবি লাগানো দেখে ফোন করলাম, একজন খানিক পরে এসেই খুলে দিলেন। একটু একটু গল্প বললেন। মিউজিয়ামটির হাল ফেরাতে এবং সর্বাঙ্গসুন্দর করে তোলার জন্যে ওনার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাঁবু খাটানোর মতো একটা জায়গায় গিয়ে দেখলাম কতগুলো আরো মূর্তি৷

মিউজিয়ামের ভেতরে শুধুই খুচরো কতগুলো জিনিসপত্র আছে। বাকি সবই সরকারের অধীনে, কলকাতার জাদুঘরে। খননকার্যে পাওয়া সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং অবাক করে তথ্য হলো – এখানে একদিনে, একই স্থান থেকে একই সঙ্গে ৯৫ টি ব্রোঞ্জ মূর্তি উদ্ধার পৃথিবীর প্রত্নতত্ত্বের ইতিহাসে এক বিরলতম নজির। পণ্ডিতগণের মতানুসারে এটি উত্তর-পূর্ব ভারতে অবস্থিত প্রাচীন এবং বৃহৎ বৌদ্ধ স্থাপত্যগুলির মধ্যে অন্যতম।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য শহরগুলি:

খড়গপুর —ভারতের একটি শিল্পনগরী। মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠানের (আইআইটি) প্রথম ক্যাম্পাস এই শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়।দক্ষিণ-পূর্ব রেলের গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন হল খড়গপুর। হাওড়া থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে এই শহরটি গড়ে উঠেছে মূলত রেলস্টেশন ও রেলের কারখানাকে কেন্দ্র করে। পূর্বের বি এন আর বা বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ের সময় থেকে এটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।

এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং পৃথিবীর বৃহত্তম প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে অন্যতম। এছাড়া বর্তমানে বেশ কিছু বড় কারখানা এবং আই আই টি-র জন্য খড়গপুর বিখ্যাত হয়েছে। ইন্দা-র বিখ্যাত খড়গেশ্বর শিবের নাম থেকেই শহরের নাম খড়গপুর হয়েছে।

এই শহরের সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, বাংলার পর এখানে দ্বিতীয় ভাষা তেলেগু। এই শহরকে ঘিরে ভ্রমণ করলে ভ্রমণটা বেশ আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে। ইন্দা : খড়গপুর শহরের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত ইন্দা। স্টেশন থেকে ২ কিলোমিটার দূরে এই ইন্দাতে রয়েছে খড়গেশ্বর মহাদেব মন্দির। অনেকের ধারণা, এই দেবতার নাম থেকেই এই শহরের নাম হয়েছে খড়গপুর।

মেদিনীপুর —জেলার একটি সদর শহর ও পৌরসভা এলাকা।এই শহরে মেদিনীপুর বিভাগের সদর দপ্তর অবস্থিত। মেদিনীপুর,পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সদর শহর, স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র। শহরের নামটি কোথা থেকে এসেছে তা নিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন মতামত পোষন করেছেন। অনেকে মনে করেন স্থানীয় দেবী মেদিনীমাতা থেকে মেদিনীপুর নামটি এসেছে।

অন্য মতটি হল খ্রি তেরো শতকে সামন্তরাজা প্রাণকরের পুত্র মেদিনীকর মেদিনীপুর প্রতিষ্ঠা করেন। তার নামানুসারেই মেদিনীপুর নামটি এসেছে।  এখানে সাক্ষরতার হার ৯১%। বিগত ২০০১ সালের আদম শুমারি আনুসারে পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮০% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭১% (২০১১ সালের সম্পূর্ণ তথ্য এখন পাওয়া যাইনাই)।

সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৬৫%, তার চাইতে মেদিনীপুর এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। ১৮২১ সালে মেদিনীপুর পুরসভা গঠিত হয়। বর্তমানে তৃনমূল কংগ্রেস পুরসভা পরিচালনা করে।

 গড়বেতা —পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদরের মহকুমার গড়বেতা-১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একটি শহর। এটি শিলাবতী নদীর তীরে অবস্থিত। এখানে মা সর্ব্ব মঙ্গলার মন্দির, দ্বাদশ সিবালয় মন্দির, কৃষ্ণ রাইজিউর মন্দির,জগন্নাথ দেবের মন্দির,বাবা বসন্ত রায়ের মন্দির রয়েছে। আজকের গড়বেতা ও বগড়ী অঞ্চল একদিন বকদ্বীপ নামে খ্যাত ছিল। ইহা এক প্রাচীন জনপদ।

যদিও এ কাহিনীর সত্যতা জানা যায়নি, মহাভারতের যুগে জঙ্গলাকীর্ন এই জনপদে অনার্যদের বাস ছিল। রাক্ষসরাজ বকাসুর ছিলেন এই জনপদের রাজ। এই বকাসুর নিহত হয়েছিলেন ভীমের হাতে। সেই সময় পঞ্চপান্ডব ছদ্মবেশে একাচক্রনগরে বসবাস করতেন বলে অনকেই উল্লেখ করেছে। জানতে পারা যায় এই একাচক্র নগর আজকের একাড়িয়া গ্রাম।

গড়বেতা ও বগড়ী পরগনাকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অনেক লেখক বিভিন্ন গ্রন্হ লিখেগেছেন। যেমন হিড়ম্ব রাক্ষস বাস করতেন হিড়ম্বকবনে যেখানে হিড়ম্বকে বধ করে হিড়িম্বাকে বিবাহ করেন। অনেকে বলেন হিড়িড়গেড়্যা জঙ্গল সেদিনের হিড়ম্বক বন। এখানে প্রাচীন মন্দির দেখতে পাওয়া, যেমন মাসর্ব্বমঙ্গলার মন্দির। এখানে প্রতিদিন অন্নভোগ রান্না হয়।

আছে দ্বাদশ সিবালয় মন্দির। বগড়ীর মাইতা গ্রামে কৃষ্ণ রাইজীর মন্দির, যে মন্দির দর্শনে এসেছিলেন মা সারদা। একদিন সারা বাঙলা জুড়ে যে বোস নাঙ্গল খ্যাতি অর্জন করেছিল সেই বসু পরিবারের বাসভূমী এখানেই। গড়বেতা যেমন প্রাচীন জনপদ, তেমনই এখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বীর সন্তানেরা।

গড়বেতার বুকে বসে গড়বেতার ইতিহাস লিখেছেন সাংবাদিকও গবেষক শ্রী তারাশংকর ভট্টাচার্য, বকদ্বীপ খ্যাত শ্রী মতিলাল বিশ্বাস, শালফুল গ্রহণ্ত প্রনেতা শ্রী প্রবোধ চন্দ্র সরকার , বগড়ী রাজ্যের ইতিহাস লিখেছেন গৌরীপদ চ্যাটার্জী প্রাক্তন অধ্যক্ষ গড়বেতা কলেজ

 

মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের একটি এবং ১৯৫১ সালের লোকসভা কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি তফসিলী জাতি ও তফসিলী উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত নয় এবং মোট সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত। এটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রতিনিধিত্ব করে এবং মেদিনীপুর শহরে লোকসভা কেন্দ্রের সদর দফতর। লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এলাকার সরকারি ভাষা হল বাংলা ও ইংরেজি। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ও পূর্ব মেদিনীপুর অংশ জুড়ে বিস্তৃত।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার থানার তালিকা

বেলদা, চন্দ্রকোনা, চন্দ্রকোনা RD পুলিশ স্টেশন ,দাঁতন, দাসপুর, ডেবরা, গ্যাল্টোর, গরবেতা, ঘাটালকেশিয়ারি, কেশপুর, খড়গপুর, খরগপুর টাউন মিদনাপুর সদর, নারায়ণগড় , পিংলা, সবং, শালবনী,

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় কয়টি ব্লক

   চন্দ্রকোনা – I  জনসংখ্যা ১১৮,০৮৫   চন্দ্রকোনা – II জনসংখ্যা ১০৬,৮৩১   দাঁতন – I জনসংখ্যা ১৫১,৩৭৬  দাঁতন – II  জনসংখ্যা ১৩৪,৩৬০  দাশপুর – I জনসংখ্যা  ১৭৫,৭৭৪  দাশপুর – II জনসংখ্যা ২০৬,০৮৭  ডেবরা  জনসংখ্যা ২৫৫,২২০ গড়বেতা – I  জনসংখ্যা ২০০,৪০২  গড়বেতা – II  জনসংখ্যা ১৩১,১০৩   গড়বেতা – III জনসংখ্যা  ১৪৫,৮৫৪   ঘাটাল  জনসংখ্যা ১৯০,৭৩৮  কেশিয়ারি  জনসংখ্যা  ১৩২,০৬১  কেশপুর  জনসংখ্যা ২৮৮,৪৮৯  খড়গপুর – I  জনসংখ্যা ২৩৭,২২৮ খড়গপুর – II জনসংখ্যা ১৬১,৮২৮ মেদিনীপুর  জনসংখ্যা ১৫৭,৯৪৫ মোহনপুর  জনসংখ্যা ৯৬,৩২৩  নারায়নগড়  জনসংখ্যা ২৬৬,৬৭৫     পিঙ্গলা  জনসংখ্যা ১৭১,০৬৬   সবং  জনসংখ্যা ২৩৮,৬৮৬   শালবনি   জনসংখ্যা ১৬৫,২৪৮

পশ্চিম মেদিনীপুর বিধানসভা নাম

লোকসভা কেন্দ্রটি ৭ টি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত। এগুলি হল-এগরা, দান্তন, কেশিয়ারী (এসটি), খড়গপুর সদর, নারায়ণগড়, খড়গপুর ও মেদিনীপুর

দান্তন বিধানসভা  

এই বিধানসভা কেন্দ্রটি পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রের একটি এবং এটি পশ্চিম মেদিনিপুর জেলার অন্তর্গত। বিধানসভা কেন্দ্রটির মূল কার্যালয় দান্তনে অবস্থিত। এই কেন্দ্রটি তফসিলি জাতি ও তফসিলী উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত নয়।

কেশিয়ারী বিধানসভা  

এই বিধানসভা কেন্দ্রটি পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রের একটি এবং এটি পশ্চিম মেদিনিপুর জেলার অন্তর্গত। বিধানসভা কেন্দ্রটির মূল কার্যালয় কেশিয়ারীতে অবস্থিত। এই কেন্দ্রটি তফসিলী উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত।

খড়গপুর সদর বিধানসভা  

এই বিধানসভা কেন্দ্রটি পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রের একটি এবং এটি পশ্চিম মেদিনিপুর জেলার অন্তর্গত। বিধানসভা কেন্দ্রটির মূল কার্যালয় খড়গপুর শহরে অবস্থিত। এই কেন্দ্রটি তফসিলী জাতি ও তফসিলী উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত নয়।

নারায়ণগড় বিধানসভা  

এই বিধানসভা কেন্দ্রটি পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রের একটি এবং এটি পশ্চিম মেদিনিপুর জেলার অন্তর্গত। বিধানসভা কেন্দ্রটির মূল কার্যালয় নারায়ণগড় শহরে অবস্থিত। এই কেন্দ্রটি তফসিলি জাতি ও তফসিলী উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত নয়।

খড়গপুর বিধানসভা  

এই বিধানসভা কেন্দ্রটি পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রের একটি এবং এটি পশ্চিম মেদিনিপুর জেলার অন্তর্গত। বিধানসভা কেন্দ্রটির মূল কার্যালয় খড়গপুর শহরে অবস্থিত। এই কেন্দ্রটি তফসিলি জাতি ও তফসিলী উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত নয়।

মেদিনীপুর বিধানসভা  

এই বিধানসভা কেন্দ্রটি পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রের একটি এবং এটি পশ্চিম মেদিনিপুর জেলার অন্তর্গত। বিধানসভা কেন্দ্রটির মূল কার্যালয় মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত। এই কেন্দ্রটি তফসিলী জাতি ও তফসিলী উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত নয়।

ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র  নিম্নলিখিত বিধানসভা 

ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র হল ভারতের ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রের অন্যতম  পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা । এটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ঘাটাল অঞ্চলে অবস্থিত। ৩২ নং ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্র এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ২০০৮ সালে সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে, পূর্বতন পাঁশকুড়া লোকসভা কেন্দ্র অবলুপ্ত করে নতুন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র গঠিত হয়।

পাঁশকুড়া পশ্চিম  বিধানসভা , সবং বিধানসভা , পিংলা বিধানসভা , ডেবরা বিধানসভা  , দাসপুর বিধানসভা  , ঘাটাল বিধানসভা , কেশপুর বিধানসভা