জ্যোতিপ্রিয়কে নিয়ে বড় বার্তা মমতার!

জ্যোতিপ্রিয়কে নিয়ে বড় বার্তা মমতার!

পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পরই তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যপদ খারিজ হয়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এখনও তা হয়নি। এখনও বনমন্ত্রী রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এমনকী শিল্প দফতরের একটি দায়িত্ব রয়েছে তাঁর। তবে জ্যোতিপ্রিয়কে কি মন্ত্রিসভায় রেখে তাঁর দফতরের দায়িত্ব অন্য কাউকে দেওয়া হবে? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল রাজ্য রাজনীতিতে।

তবে, এখনই জ্যোতিপ্রিয়র পরিণতি হচ্ছে না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো। বরং ঘুরিয়ে তাঁর পাশেই দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি হেফাজতে রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর এই গ্রেফতারের ঘটনায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। জ্যোতিপ্রিয় তো বলেছেন, সবটাই ষড়যন্ত্র। হাত আছে শুভেন্দুর।

আর আজ, রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বালুকে (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তোমরা উত্তর ২৪ পরগনার সংগঠনটা দেখো।" উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে যারা মন্ত্রী আছেন, তাঁদের উদ্দ্যেশ্য করেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। দলের বেশ কয়েকজন নেতাকে উত্তর ২৪ পরগনার সংগঠনকে আরও সময় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

ব্রাত্য বসু,পার্থ ভৌমিক, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, রথীন ঘোষদের সেই দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, "কালীপুজোর সময় তোমরা জেলাতেই থেকো। এলাকাকে গুরত্ব দিতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনায় অনেক কালীপুজো হয়। তোমরা দেখে নিও।" উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক মন্ত্রীদের সমন্বয় করে নজর দেওয়ার নির্দেশও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "সব কিছুকেই গেরুয়া রং করে দিচ্ছে। মাঠ,হাসপাতাল,অফিস সব কিছুকেই ওরা গেরুয়া রং করে দিচ্ছে।" সম্প্রতি কেন্দ্রের ন্যাশনাল হেলথ মিশন নিয়োগে পাঠানো চিঠির প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য বলেই মন্ত্রিসভা সূত্রে খবর।