মালদহে মেয়ের শ্বশুর-বাড়ির মীমাংসা মেটাতে গিয়ে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন

মালদহে মেয়ের শ্বশুর-বাড়ির মীমাংসা মেটাতে গিয়ে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন

মালদা   চাঁচল : মেয়ের শ্বশুর-বাড়ির বিবাদ মীমাংসা করতে গিয়ে বাঁশ ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে খুনের অভিযোগ বেশ কয়েক জন প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল থানার হলদিবাড়ি এলাকায়। ওই ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় একটি খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।

পুলিশ ইতিমধ্যেই মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছে। ঘটনাস্থলে চাঁচল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা চাঁচল মহকুমা জুড়ে এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃতের নাম আব্দুল হক বয়স(৪০)। বাড়ি চাঁচল ২ব্লকের ধানগড়া বিষণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হলদিবাড়ি এলাকায়।

মৃতের পরিবারে রয়েছে স্ত্রী ও চার মেয়ে রয়েছে। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুল হকের মেয়ে চুমকি বিবির কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় হলদিবাড়ি এলাকার রোস্তম শেখের সাথে। মাঝে-মধ্যেই চুমকির পরিবারে গন্ডগোল বাঁধে। সে মত শুক্রবার চুমকি বিবির বাবা আব্দুল হক সেই গন্ডগোলের মীমাংসা করতে আসে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে।

এরপর প্রতিবেশী বাবলু শেখের সাথে তার বচসা বেধে যায়। তারপর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুইজন। সেই বিবাদ কে কেন্দ্র করে আব্দুল হক কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপ মারে বাবলু হক সহ মোট আটজন। ধারালো অস্ত্রের পাশাপাশি বাঁশ দিয়ে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আব্দুল হককে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে প্রথমে মালতিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে রাতে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন শনিবার সকালে মৃত্যু হয় আব্দুল হকের।

মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃতের পরিবার সহ গোটা গ্রামে। এই বিষয়ে অভিযুক্তদের আট জনের বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।