চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে কৃষ্ণনগরের নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালাল প্রসূতির পরিবার

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে কৃষ্ণনগরের নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালাল প্রসূতির পরিবার

  চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালাল প্রসূতির পরিবার। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার রাতের এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।  পরিবার সূত্রে খবর, মিলি মণ্ডল (২৭) অন্ত্বঃসত্তা ছিলেন। শনিবার সকালে প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর।

এতদিন যাবত যে চিকিৎসককে দেখাচ্ছিলেন তাঁর কাছে নিয়ে যাওয়া হয় মিলিকে। তিনি নার্সিংহোমে ভরতি হওয়ার পরামর্শ দেন। বেলা ১১টা নাগাদ সুস্থ সন্তানেরও জন্ম দেন মিলি। বেলা ১২টা নাগাদ প্রসূতিকে বেডেও দেওয়া হয়। তখনও পর্যন্ত তিনি সুস্থ ছিলেন বলেই দাবি পরিবারের। পরে তাঁর অবস্থান অবনতি হতে শুরু করে।  

মৃতার ভাই সৌরভ মণ্ডলের অভিযোগ, বেডে দেওয়ার পরও পরিবারের কাউকে দিদির কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। চিকিৎসকও সেই সময় হাসপাতালে ছিল না। আমরা উপরে যেতে চাইলে হাসপাতালের কর্মীরা যেতে দেয়নি। পরে আয়ারা এসে আমাদের জানায়, দিদির শারীরির অবস্থা খারাপ।”  জানা গিয়েছে, বেডে দেওয়ার পর থেকেই প্রসূতির শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল প্রস্রাব।

বেলা দু’টোর সময় চিকিৎসক দেখতে আসেন বলেও অভিযোগ পরিবারের। অবস্থার অবনতির পর প্রসূতিকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর পরই হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় মৃতার পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসককে মারধরের হুমকিও দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের দাবি, চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি ছিল না। সন্তান প্রসবের পর প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনায় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের অভিযোগ তুলে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতার পরিবার।