চোর-প্রতারককে ভয়ের কোনও কারণ নেই, অভিযোগ জানাতে আবেদন মহুয়ার

চোর-প্রতারককে ভয়ের কোনও কারণ নেই, অভিযোগ জানাতে আবেদন মহুয়ার

সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছিল নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে। এদিকে এই বিতর্কের মধ্যেই ফেসবুকে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ Mahua Moitra মহুয়া মৈত্র। এবার তাঁকে পালটা তোপ দাগলেন তাপস সাহা। তাপস সাহার নামে অভিযোগ জানিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও লেখেন অভিযোগকারীরা।

যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে তৃণমূল বিধায়ক সাফ জানিয়েছিলেন, এই অভিযোগ প্রমাণে ইস্তফা দিতে রাজি তিনি। এবার এই ঘটনায় তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার আপ্ত সহায়ক সহ তিনজনকে নদিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখার হাতে গ্রেফতার হয়েছে তাঁরা।

জানা গিয়েছে, রায়দিঘি থেকে তাপস সাহার আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল এবং তাঁর দুই সঙ্গী শ্যামল কয়াল এবং সুনীল মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে শুক্রবার। যদিও বিধায়ক জানিয়েছেন আপ্ত সহায়কের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্কই নেই। ''চোর-প্রতারককে ভয়ের কোনও কারণ নেই'', অভিযোগ জানাতে আবেদন মহুয়ার এই বিতর্কের মধ্যেই মহুয়া একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন,

“মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বার বার বলছেন, দলকে সামনে রেখে কোনও রকমের তোলাবাজি করা যাবে না - চাকরি দেওয়ার নাম করে, TET প্যানেলে নথিভুক্ত করার নাম করে, সরকারি কাজ করিয়ে দেওয়ার নাম করে কেউ বা কারা যদি মানুষকে প্রতারণা করে তবে নির্ভয়ে এক্ষুনি পুলিশ বা আমার অফিসে লিখিত অভিযোগ করুন।

ভয় পাবেন না। চোর, প্রতারককে ভয় করার কোনও কারণ নেই। যতই প্রভাবশালী হোক না কেন এক দিন না একদিন ধরা পড়বেই - তাই দয়া করে এগিয়ে আসুন - চলুন এই চক্রগুলিকে বন্ধ করি।” তাপস সাহার বিরুদ্ধে যখন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে সেই সময় মহুয়ার এই পোস্ট যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তাপস সাহা অবশ্য সংসদের এই পোস্টে  আমল দিতে রাজি নন তিনি বলেন,

বিগত দিনে আমার বিরুদ্ধে উপদল গঠন করে ভোট করেছিলো যারা আজ তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে মহুয়া মৈত্র। তবে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি আমার আত্মসহায়ক নয়। অনেকের সাথেই যোগাযোগ এবং সম্পর্ক তৈরি হয়, তারা কি করেছে সে দায় নিশ্চয়ই আমার উপর বর্তায় না। সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে প্রতারকদের টাকা ফেরত  পাওয়ার বিষয়ে জড়ালো সাওয়াল করেছেন নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস, তিনি আরো বলেন অবিলম্বে বিধায়ক কে গ্রেফতার করা উচিত এবং তার সদস্যপদ বাতিল করা উচিত।