অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩৯ জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করল গলসি থানার পুলিশ

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩৯ জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করল গলসি থানার পুলিশ

পূর্ব বর্ধমান Purba Bardhaman জেলার গলসি Galsi থানার সন্তোষপুর এলাকা থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩৯ জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করল গলসি থানার পুলিশ। এদিন বর্ধমান জেলা আদালতে তোলা হয় অভিযুক্তদের (East Bardhaman News)। ধৃতদের মধ্যে পাঁচজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে পুলিশ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ৩৯ জন ধৃতের মধ্যে অনেকেই নির্দোষ। তাদের অবিলম্বে ছেড়ে দিতে হবে এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যারা মূল অভিযুক্ত তাদের গ্রেফতার করতে হবে।

অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে এল কলকাতা সিআইডির ফরেন্সিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট টিমের বিশেষ দল। এই দলে রয়েছে সিআইডির ইন্সপেক্টর শৈবাল বাগচি সহ চার জন। এদের মধ্যে একজন ফোটোগ্রাফার ও দুজন ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্ট। এই টিম গলসী থানায় আসে, তারপর থানার একজন অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা সন্তোষপুরের গ্রামের উদ্দেশ্য রওনা দেন।

ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ি ও গাড়িগুলি পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন তারা।এই মুহূর্তে সন্তোষপুর এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী।  এ যেন অনেকটা বগটুই কাণ্ডেরই পুণরাবৃত্তি(East Bardhaman News)। খুনের বদলা নিতে পুলিশের সামনেই খুনি ও তার পরিজনদের বাড়িতে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন।

বগটুই কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতে ফের সোমবার পূর্ব বর্ধমানের গলসির রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্তোষপুর গ্রামে ঘটে গিয়েছে এমনই ঘটনা। আর তা নিয়ে পুলিশের দিকে আঙ্গুল উঠতেই শুরু হয় ধরপাকড়। রাতভর অভিযান চালিয়ে পুলিশ সন্তোষপুর গ্রাম থেকে ৩৯ জনকে গ্রেফতার করার পর এখন কার্যত পুরুষ শূণ্য সন্তোষপুর গ্রাম।

কৃষি প্রধান গলসির সন্তোষপুর গ্রাম হঠৎ করে এই ভাবে খবরের শিরণামে জায়গা করে নেওয়ার নেপথ্য কারণটাও যথেষ্ট শিহরণ জাগানো। স্ত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করেছিলেন ওই গ্রামেরই বাসিন্দা উৎপল ঘোষ (৩৩)। স্ত্রীকে উত্যক্ত করার ঘটনায় জড়িত প্রতিবেশী মনোজ ঘোষের বিরুদ্ধে তিনি গলসি থানায় অভিযোগও জানিয়েছিলেন।

তারই বদলা নিতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে উৎপল ঘোষকে নৃশংস ভাবে খুন করে মনোজ ঘোষ। রাতে মাথায় কুড়ুল গেঁথে থাকা অবস্থায় এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার হয় উৎপলের মৃতদেহ। মৃত'র পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনার তদন্তে নেমে গলসি থানার পুলিশ ওই রাতেই মনোজকে আটক করে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

জেরায় মনোজ পুলিশের কাছে স্বীকার করে নেয় সমস্ত অভিযোগ। এরপরই পুলিশ খুনের ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্ত মনোজ ঘোষকে গ্রেফতার করে বর্ধমান আদালতে পেশ করে। আরও তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসার ধৃত মনোজকে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৯ জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করে গলসি থানার পুলিশ।