মালদায় কাজ চাইতে গিয়ে তৃণমূল প্রধান প্রতিনিধির মারধরের শিকার প্রতিবন্ধি শ্রমিক

মালদায় কাজ চাইতে গিয়ে তৃণমূল প্রধান প্রতিনিধির মারধরের শিকার প্রতিবন্ধি শ্রমিক

 তনুজ জৈন  চাঁচল : একশো দিনের প্রকল্পের কাজ চাইতে গিয়ে শাসকদলের প্রধান প্রতিনিধির হাতে শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ উঠলো। মালদহের চাঁচল-২ নম্বর ব্লকের জালালপুর পঞ্চায়েতের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ঘটনা।অভিযোগ, এলাকার জবকার্ডধারী শ্রমিকদের কাজ না দিয়ে জেসিবি মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করা হচ্ছে।তাও আবার রাতের আঁধারে।

যার জেরে লকডাউনে দিশেহারা শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেন না।ফলে অর্ধঅনাহারে কাটাতে হচ্ছে অনেককেই বলে অভিযোগ।কাজ চাইতে গেলে তৃণমূলের প্রধানের স্বামী এবং তার প্রতিনিধিরা হামলা করেছে শ্রমিকদের উপর বলে অভিযোগ।এবং আপাতত ওই  জখম প্রতিবন্ধি শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বাড়িতেই রয়েছেন। উল্লেখ্য,জেসেবি দিয়ে মাটি খননের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন এলাকার শ্রমিকরা।

এনিয়ে চাঁচল-২ নং ব্লকের বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন বঞ্চিত শ্রমিক শুকরুদ্দিন  ও কাবিরেরা।পরে বিডিও-র তদন্ত বিভাগ সরজমিনে গিয়ে কাজ বন্ধ রেখেছে। আক্রান্ত প্রতিবন্ধি শ্রমিক রফিকুল ইসলাম  অভিযোগ করে বলেন,কাজ চাইতে গিয়েছিলাম,কাজের বদলে জুটেছে প্রধান প্রতিনিধির মার।

আমার সাথে আরোও একজন গিয়েছিল,তাকেও মারধর করা হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে  শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তর্জা।তৃণমূল দলকে দুর্নীতির কারখানা বলে কটাক্ষ করেছে মালদা জেলা বিজেপি কমিটি। বঞ্চিত শ্রমিকরা এনিয়ে চাঁচল দু'নম্বর ব্লক প্রশাসনকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন।লিখিত অভিযোগ জানিয়েও ব্লক প্রশাসন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ।

যদিও চাঁচল-২ নম্বর ব্লকের বিডিও দিব্যোজ্যোতি দাস জানিয়েছেন,সরজমিনে ঘটনার তদন্ত হয়েছে,কাজ বন্ধ করে প্রশাসন ব‍্যবস্থা নিচ্ছে। শাসকদলীয় জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মাসতারা বিবির স্বামী হাবিবুর রহমান জানান,জেসিবি দিয়ে নয়,শ্রমিকদের নিয়ে পুকুর খনন করা হচ্ছে।যারা অভিযোগ করছে তারা বিজেপির নেতা-কর্মী।তারা শ্রমিক নই।

তারা চাইছে এলাকায় উন্নয়ন মূলক কাজ না হোক।ভূল হলে প্রশাসন  পদক্ষেপ নিবে। এই ঘটনায় তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন  বিজেপির মালদা জেলা যুব মোর্চা সহ-সভাপতি সুমিত সরকার।তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েতগুলি কেন্দ্র সরকারের একশো দিনের প্রকল্পের কাজের টাকা বিনা কাজ করে তুলে নিচ্ছে। যার জন্য এনআরইজিএস প্রকল্পের টাকা চারমাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ।

যার জেরে শ্রমিকরা অভাবের মধ্যে কাটাচ্ছে।এর জন্য দায়ী একমাত্র তৃণমূল  সরকার।স্বচ্ছভাবে কাজ করলে শ্রমিকদের এই দুর্ভোগ জুটত না।ঘটনাস্থলটি তৃণমূলের বিধায়ক তথা মালদা জেলা তৃণমূল কমিটির সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির এলাকা। পাল্টা বক্তব্যে তিনি বলেন, ওখানে শ্রমিকরা অভিযোগ করছে না। অভিযোগ করছে স্থানীয় কয়েকজন বিজেপির নেতা কর্মীরা।তারা ভাগ পাচ্ছেনা তাই এমনটাই অভিযোগ করছে।তারা চাইছে এলাকায় উন্নয়ন মূলক কাজ না হোক।তবে মুখমন্ত্রী উন্নয়ন নিয়েই খেলে।মালতিপুরে খেলা হচ্ছে ও কাজও হচ্ছে।শ্রমিকরা বঞ্চিত নয়।