নিম্নচাপের বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে মালদায়

নিম্নচাপের বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে মালদায়

টানা কয়েকদিনের নিম্নচাপের বৃষ্টিতে প্লাবিত দুই বঙ্গেরই একাধিক জেলা। তবে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে মালদার (Malda) বামনগোলায়। পুনর্ভবা নদী ও টাঙ্গুর নদীর জলে ভাসছে বামনগোলা ব্লকের বহু গ্রাম। গত তিন-চারদিন ধরে ঘরছাড়া বহু মানুষ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রবিবার ঘটনাস্থলে যান জেলাশাসক (DM) নীতিন সিংহানিয়া।

যদিও জেলাশাসকের সামনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঘরছাড়া গ্রামবাসী।  এদিন জেলাশাসক প্রথমে বামনগোলা ব্লকে গিয়ে সেখানকার বিডিও ও বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক সহ বিভিন্ন অঞ্চলের প্রধানকে নিয়ে বৈঠক করেন। বামনগোলা ব্লকের বন্যার পরিস্থিতি কী, তা নিয়ে আলোচনা করেন। তারপর বামনগোলার মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের কুপাদাহ, দক্ষিণপাড়া সহ বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করেন জেলাশাসক।

কয়েকটি গ্রামের পরিস্থিতি যে খুব খারাপ, তা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলাশাসক। বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করে জেলাশাসক জানান, বামনগোলা ব্লকের চারটি অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি খুব খারাপ। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। কুপাদাহ গ্রামে নদীর বাধও বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। বালির বস্তা দিয়ে কোনক্রমে ঠেকনা দেওয়া রয়েছে বাধ।

বাধের গায়ের ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে এবং তার মধ্য দিয়ে নদীর জল ভিতরে ঢুকছে। জেলাশাসক সেই নদীবাধ এলাকা ঘুরে দেখেন।  এদিকে, বন্যা পরিস্থিতির জেরে ঘরছাড়া ও দুর্গতদের জন্য বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের তরফে পুনর্ভবার জলে প্লাবিত গ্রামগুলিতে ত্রিপল, শুকনো খাবার, পরিশ্রুত পানীয় জল, ওষুধ পাঠানো হয়েছে। তবে নদীবাধ কেন আগে থেকে মেরামত করা হয়নি, ত্রাণ সামগ্রী কেন আগে আসেনি, তা নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।