দলবিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগে পঞ্চায়েত সদস্যা ও তার স্বামীকে বহিস্কার করল তৃণমূল

দলবিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগে পঞ্চায়েত সদস্যা ও তার স্বামীকে বহিস্কার করল তৃণমূল

 তনুজ জৈন   চাঁচল  : এলাকা উন্নয়নের টাকা তছরুপ সহ দল বিরোধী কাজের জন্য মালদহের চাঁচল-১ ব্লকের কলিগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের এক সদস্যা কে দল থেকে বহিস্কার করলেন ব্লক সভাপতি।শুধু তাই নয়,পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে বহিস্কৃত করল তৃণমূল।

বৃহস্পতিবার বিকালে চাঁচলের বিবেকানন্দ পল্লীর দলীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে সাংবাদিক বৈঠক করে লিখিত আকারে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন চাঁচল -১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শচীদানন্দ চক্রবর্তী।ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা যায়, ওই বহিষ্কৃত সদস্যার নাম মনোয়ারা খাতুন। তিনি কলিগ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবতীপুর বুথের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যা।

ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে ওই সদস্যা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তার কিছু দিন পর থেকেই। একের পর এক দল বিরোধী কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন। দলের কোনো মিটিং মিছিলে উপস্থিত থাকেন না।পাশাপাশি গোপনে কংগ্রেসের সাথে আঁতাত রেখে চলতেন বলে অভিযোগ।

পঞ্চায়েত ও বুথ স্তর থেকে  একাধিক অভিযোগ পওয়ার পরই তাকে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য দল থেকে বহিস্কার করা হয়। মনোয়ারা খাতুন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত থেকে প্রধান যেমন কাজ দিতেন সেভাবেই কাজ করা হয়েছে।তবে আমি লিখিভ ভাবে তৃণমূলে যোগদান করিনি।

আমি কংগ্রস থেকে নির্বাচিত  হয়েছিলাম কংগ্রেসেই আছি। পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী মজিবুর রহমানের দাবি,গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পত্নী জয়ী হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে জোট বেধে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে সঙ্গ দিয়েছিল।কিন্তু লিখিত ভাবে তৃণমূলে যোগ দেননি।শুধু আমি তৃণমূল কংগ্রসের পতাকা ধরেছিলাম।বহুবছর ধরে কংগ্রেস করে এসছি।তাই ভালোবেসে  ফের প্রত্যাবর্তন করছি। এবিষয়ে চাঁচল-১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শচীদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, পঞ্চায়েত ও বুথের নেতা কর্মীদের থেকে একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পরই দল থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।