ভোট পরবর্তী হিংসায় গ্রেফতার পূর্ব মেদিনীপুরের দাপুটে বিজেপি নেতা

ভোট পরবর্তী হিংসায় গ্রেফতার পূর্ব মেদিনীপুরের দাপুটে বিজেপি নেতা

ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে একদিকে যখন সরব বিজেপি। তখন এই একই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসাবে খেজুরির দাপুটে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হল। ধৃত ওই নেতা খেজুরি বিধানসভা এলাকার বিজেপির প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি। রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার তাঁকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।

এই ঘটনা ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এটা সম্পূর্ণ প্রতিহিংসার রাজনীতি। পাল্টা ঘাসফুল শিবিরের দাবি, আইন আইনের পথেই চলছে। ধৃত ওই বিজেপি নেতার নাম শুভ্রাংশুশেখর দাস।

তাঁর বাড়ি খেজুরি থানার মালদা গ্রামে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার কিছুদিন আগেই বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল খেজুরি বিধানসভার বিস্তীর্ণ এলাকা। এই ঘটনায় নাম জড়ায় খেজুরির বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি শুভ্রাংশুশেখর দাস-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতার।

খেজুরি থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়। পুলিশের দাবি, এই ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিলেন শুভ্রাংশু। রবিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। খেজুরি থেকে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেতাকে। যদিও এই ঘটনায় প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখতে পাচ্ছে বিজেপি। খেজুরির বিজেপি নেতা তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তাপসকুমার দলুই বলেন,

“তৃণমূল এখন প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছে। তাই বিজেপির প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতিকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে। কিন্তু আমাদেরও আইনের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে।” যদিও বিজেপির বক্তব্যকে নস্যাত্‍ করে খেজুরির তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম দাস বলেন, “দোষ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। আইন আইনের পথে চলবে। বিজেপির মতো তৃণমূল কংগ্রেস কোনওদিনই প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।”