চাঁচলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে খুঁটি থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু এক অস্থায়ী কর্মীর, জখম আরো দুই

চাঁচলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে খুঁটি থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু এক অস্থায়ী কর্মীর, জখম আরো দুই

 তনুজ জৈন   চাঁচল: রাজ্য সরকারের এইচভিডিএস প্রজেক্টের আওতায় বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ঠিকাদারি সংস্থার অধীনে কর্মরত বিদ্যুৎ দপ্তরের অস্থায়ী এক কর্মীর।জখম আরো ছয়।যাদের মধ্যে দুইজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে চাঁচল ১ ব্লকের মহানন্দপুর দক্ষিণপাকা মল্লিক পাড়া গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্দেশ্যে নতুন একটি বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর কাজ চলছিল।

রাজ্য সরকারের হাই ভোল্টেজ ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম প্রজেক্টের আওতায় কাজটি হচ্ছিল।এই কাজের দায়িত্বে ছিল লেসার পাওয়ার ইনফ্রা প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি সংস্থা।সেই সংস্থার ঠিকাদারদের অধীনেই কর্মীরা কাজ করছিল।তিন দিন আগে থেকে শুরু হয় এই খুঁটি বসানোর কাজ।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মঙ্গলবার বিকেলে কাজ চলাকালীন খুঁটির পাশ দিয়ে যাওয়া ১১ হাজার ভোল্টের তারের সংস্পর্শে এসে খুঁটির উপরে থাকা সাতজন শ্রমিক বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে নিচে ছিটকে পড়ে।

স্থানীয়রা বিদ্যুৎ কর্মীদের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে এলে তাদের মধ্যে আবু তালেব (৩৭) নামে এক কর্মীকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।রাজকুমার রাজবংশী এবং আনসার আলী নামে আরো দুই কর্মী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।বাকি কর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।সাতজন কর্মীর সকলেই রায়গঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

মৃত বিদ্যুৎ কর্মী আবু তালেবের দেহ মালদা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে চাঁচল থানার পুলিশ।শহীদ আলী নামে এক বিদ্যুৎ কর্মী বলেন," আমরা পোলে কাজ করছিলাম। হঠাৎ কি হল বুঝতে পারলাম না।শক খেয়ে নিচে ছিটকে পড়েছি। আমার হাত ও পায়ে আঘাত লেগেছে। আমাদের মধ্যে একজন মারা গেছে। দুইজনের আঘাত বেশ গুরুতর।আমরা সবাই ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতাম।" মৃতের বাবা জাফর আলী পেশায় টোটো চালক। মৃত আবু তালেবের মাত্র তিন মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল। বাড়িতে রয়েছে বৃদ্ধ বাবা মা এবং নববধূ। অথৈ জলে পরিবার।