পশ্চিম মেদিনীপুরে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করায় যুবককে উচিৎ শিক্ষা দিল জনতা

পশ্চিম মেদিনীপুরে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করায় যুবককে উচিৎ শিক্ষা দিল জনতা

মেয়েদের স্কুলের সামনে হোক, কিংবা রাস্তায়! ‘রোড সাইড রোমিওদের’ উত্‍পাত লেগেই থাকে। কখনও মেয়েদের উদ্দেশে কটূক্তি, কখনও বা অশালীন মন্তব্য। রোমিওদে উত্‍পাতে তটস্থ এলাকার মানুষজন। এবার দেওয়া হল ‘উচিত্‍ শাস্তি’। মেয়েদেরকে ইভটিজিং করায় গণধোলাই দেওয়া হল এক যুবককে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার অন্তর্গত পলাশী এলাকার ঘটনা।

অভিযোগ আষাড়ি থেকে রাধামোহনপুর, এই ছয় কিলোমিটার রাস্তায় সন্ধ্যার পরে মেয়েরা টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার সময়ে ওই রাস্তায় প্রতিনিয়ত রোমিওদের উত্‍পাত লেগে থাকে। বারবার, পুলিশে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যাতেও মেয়েরা যখন টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল ঠিক সেই সময়ই তিনজন যুবক মেয়েদের ইভটিজিং করে।

এবার এলাকার বাসিন্দাদের হাতে জড়ো হতে দেখেই চম্পট দেয় তিনজন। কিন্তু দু’জন পালিয়ে গেলেও এলাকার বাসিন্দারা তিনজনের মধ্যে একজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তারপরই দেওয়া হয় গণধোলাই, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে ডেবরা থানার পুলিশ। কিন্তু, পুলিশ আসলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় মানুষজন।

উত্তেজিত জনতার হাত থেকে যুবককে কোনও রকমে এলাকা থেকে নিয়ে বেরিয়ে আসে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত যুবকের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি । স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “একটি ছেলে ও মেয়ে বাইকে চড়ে আসছিল। এরপর ওরা তিনজন ওদের ফলো করতে শুরু করেন।

শুধু ফলো করা নয়, ওদের মারতেও উদ্যত হয়, সঙ্গে চলে টোন-টিটকিরি। এই ঘটনা আজকের নয়। প্রতিদিন কারোর না কারোর সঙ্গে ঘটছে। কোনও দিন ধরতে পারিনি ওদের। আজকে বাগে পড়েছে। দু’চার ঘা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এলে কী হবে? রোজ একই ঘটনা ঘটে। যদিও, পুলিশ কথা দিয়েছে এবার আর ওদের ছাড়বে না।”