বিজেপির নবান্ন অভিযানে জেলা থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে কর্মকর্তারা

বিজেপির নবান্ন অভিযানে  জেলা থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে কর্মকর্তারা

 মে মাসজুড়ে একাধিক বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি । নবান্ন অভিযান থেকে শহিদ সম্পর্ক অভিযান, তালিকায় আছে একাধিক কর্মসূচি। যা শুরুতেই, ২ রা মে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপি। আয়োজিত হবে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল। ৩ মে অনশন সত্যাগ্রহ কর্মসূচি কলকাতায়। ৭ মে আয়োজিত হবে শহিদ সম্পর্ক যাত্রা।

৮ এবং ৯ মে ব্লকস্তরে পদযাত্রা। ১০ মে রাজ্যের একাধিক শহিদ পরিবারকে কলকাতায় এনে বিক্ষোভ সমাবেশ। ২৬ তারিখ বিকাশ ভবন অভিযান বিজেপি যুবমোর্চার। যদিও বিজেপির এই কর্মসূচিকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছে তৃণমূল, 'কোন বিজেপি নবান্ন অভিযানের ডাক দিচ্ছে! একদল বলছে নবান্ন চলো, আরও এক দল বলছে নবান্ন থেকে ফেরো।

আদি নব্য বিজেপির মারামারিতে ক'জন শহিদ হয়েছে ওরা হিসেব রাখুক। 'নবান্ন অভিযানে যাঁরা যাবেন তাঁদের কাছে যেন মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড থাকে। কেন্দ্রের থেকে বাংলা সেরা হওয়ার প্ল্যাকার্ড রাখবেন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে নজর ঘোরাতেই এসব বলছে।' যদিও এ বিষয়ে আমল দিতে রাজি নয় বিজেপি। তাদের দাবি স্বজনপোষণ কাটমানি দুর্নীতি তোলাবাজি এবং ধর্ষণে এ রাজ্য সেরার শিরোপা পেয়েছে।

মানুষ এর থেকে পরিত্রান খুঁজছে, সম্প্রতি বগটুই হাঁসখালি সহ একাধিক ঘটনায় সাধারণ মানুষের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তি এর থেকে মুক্তি দিতে পারে, বিগত পৌর নির্বাচনে কিছুটা বোঝা গেলেও আগামী চব্বিশের নির্বাচনের তা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে। নবান্ন অভিযান দলীয়ভাবে ডাক দেওয়া হলেও, ভয় সন্ত্রাস এর ফলে সাধারণের মানুষের অব্যক্ত কথাই বলবে বিজেপি।

ডাক তুলবে এই তৃণমূল আর নয়, আর নয় অন্যায়। নবান্ন অভিযান নিয়ে ছাত্র-যুব মহিলাদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব, তারা বলেন এ বিষয়ে বাজি বাজি ক্যাম্পেইনিং দেওয়ার লেখা এবং এলাকায় এলাকায় বেশ কিছু সভা-সমিতি পর্যন্ত হয়েছে মানুষের জনমত গড়ে তুলতে। বিধানসভা ভোট পরবর্তী আজ পর্যন্ত সময়কালে 60 জনেরও বেশি বিজেপির কার্যকর্তা শহীদ হয়েছেন।

তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিধি সম্মত ভাবে দিলীপ ঘোষ তর্পণ করেন কাশিপুর সর্বমঙ্গলা ঘাটে। নদীয়ার বিভিন্ন বিজেপি নেতৃত্ব বলেন আজকের নবান্ন অভিযানের আগাম জানান হিসেবে  হয়তো কর্মকর্তারা অনেকেই থাকবেন না। সত্যের সামনে দাঁড়াতে না পেরে পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে আঘাত হানতে পারে তারা কিন্তু, আন্দোলন তাতে কোনো ভাবেই স্তিমিত হবে না। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা থেকে বিজেপির নেতৃত্বে রেল ও সড়ক পথে রওনা দিয়েছেন হাজার হাজার শোষিত লাঞ্ছিত নিপীড়িত সাধারণ মানুষ তাদের নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন।