১০ টি সরকারি পদের চাকরি জন্য আবেদন করেছেন মাত্র পাঁচ জন। কিন্তু কেন?

১০ টি সরকারি পদের চাকরি জন্য আবেদন করেছেন মাত্র পাঁচ জন। কিন্তু কেন?

আজ নদীয়ার রানাঘাটে শান্তিপুর ব্লকের আশা কর্মী প্রার্থীপদ 10 জনের মধ্যে আবেদন মাত্র পাঁচ জনের। তাও আবার সরকারি পরিকাঠামোর মধ্যে চাকরি। মাইনে নেহাত মন্দ নয় 5500 টাকা, সাথে কোভিদ এলাউন্স 1000 টাকা, বিভিন্ন কাজ অনুযায়ী ইন্সেন্টিভও রয়েছে। কিন্তু আবেদনকারী পাওয়া যাচ্ছে না, যাচ্ছে না ঠিক বলব না যাচ্ছিলো না।

হ্যাঁ দুই হাজার কুড়ি সালের মার্চ মাসে আশা কর্মী নিয়োগের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। সে সময়টা অনুভব করা একটু কঠিন। ফিরে চলুন দুটো বছর পেছনে, রাস্তায় শুধু গুটি কতক ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার বাকি সকলে করোনার ভয়াল গ্রাস থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য গৃহবন্দি হয়েছিলো মাসের পর  মাস।

কতদিন বাঁচবো সেটা ছিলো প্রশ্ন, জীবিকার থেকেও জীবনের মূল্য অনেক বেশি ছিল সে সময়। প্রাণ থাকলে তবে না চাকরি? জেনেশুনে কে আগুনে ঝাঁপ দিতে চায়! তাই বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়লেও, পারিবারিক বন্ধন ছেড়ে অতিমারির সাথে মিতালি করতে রাজী হয়নি কেউই। তার উপর মহিলা সামাজিক সমস্যা ছিল অনেক রকম।

সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, এ বছর অর্থাৎ 2022 হয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে যার শূন্য পদ অনুযায়ী আবেদন জমা পড়েছে প্রায় কুড়ি গুন। 2018 সালেও প্রায় এই রকমই ছিল সংখ্যাটা। তবে সে সময় যারা আবেদন করেছিলেন, আজকের ইন্টারভিউ যেমনই হোক চাকরি তাদের বাধা। কারণ একটি পদের জন্য আবেদনপত্র জমা পড়েছে একজন আবেদনকারীনীর।

কোনো কোনো পদের ক্ষেত্রে, এক জনও আবেদন করেননি। এইরকম পাঁচটি পদের জন্য আবারও বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে কর্তৃপক্ষের। এমনটা শুধু শান্তিপুরের ক্ষেত্রে তা নয় সে সময় যারা আবেদন করবেন ভেবেছিলেন কিন্তু পরিস্থিতির চাপে বা বাড়ির নিষেধে আবেদন করা  হয়নি  তারা হয়তো আঙুল কামড়াচ্ছেন নিশ্চয়। সময় বলুন বা বিচক্ষণতা একেই বোধহয় বলে ভাগ্য।