Santipur অন্তঃসত্ত্বাকে লাথি মেরে সন্তান নষ্টের অভিযোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে

Santipur অন্তঃসত্ত্বাকে লাথি মেরে সন্তান নষ্টের অভিযোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে

শান্তিপুর    এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর বাড়িতে চড়াও হয়ে তার পেটে লাথি মেরে সন্তান নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির একজন সদস্যের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন পুলিশের কাছে দায়ের করায় শুক্রবার গভীররাতে লোকজন নিয়ে ওই গৃহবধূর বাপের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর গয়েশপুর পঞ্চায়েতের টেংরিডাঙ্গা গ্রামে। আনোয়ার হোসেন মন্ডল নামে অভিযুক্ত ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে শনিবার বেলা দুটো পর্যন্ত তার তিনটি নাম্বারে বার বার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কর্মীরাই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হিসাবে ভোটে জয়যুক্ত করান স্থানীয় প্রসিদ্ধ ইঁটভাটার মালিক আনোয়ার হোসেন মন্ডলকে।

অভিযোগ, ভোটে জেতার পর থেকে  কর্মীদের খোঁজখবর তিনি রাখছিলেন না। ফলে কর্মীদের সঙ্গে বাড়ে দূরত্ব। কর্মীদের বিভিন্নরকম মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগও উঠে এসেছে। শান্তিপুর থানা গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেদিয়ায় বাড়ি আনোয়ার হোসেন মন্ডলের। সাত বছর আগে ওই গ্রামে বিয়ে হয়ে এসেছেন টেংরি ডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মান্নান শেখের মেয়ে সুলেখা খাতুনের।  

কর্মসূত্রে তার স্বামী বাইরে থাকেন। সেই কারণে সুলেখা খাতুন মাঝেমধ্যেই পাশের গ্রামে তার বাপের বাড়িতে যান। অভিযোগ, আত্মীয় না হয়েও আনোয়ার হোসেন মন্ডল ওই গৃহবধূর ওপর ফতেয়া জারি করে বাপের বাড়িতে না যাবার জন্য। কিন্তু সেই নির্দেশ না মানছিলেন না সুলেখা খাতুন। গত ১৭ এপ্রিল গভীর রাতে আনোয়ার হোসেন মন্ডল  লোকজন নিয়ে ওই গৃহবধূর বাপের বাড়িতে চড়াও হন।

সুলেখা খাতুনের দাদা বাদশা সেখ অভিযোগ করেছেন,' আমরাও তৃণমূল কংগ্রেস করি। কিন্তু আনোয়ার হোসেন মন্ডল তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর জন্য গত ১৭ এপ্রিল রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়িতে আমার মা এবং বোন ছিল। বাড়িতে ঢুকে আমার মায়ের উপর অত্যাচার করে। আমার অন্তসত্তা বোনের পেটে লাথি মারা হয়।

আমার বোনকে তিনদিন হাসপাতালে ভর্তি রাখার পর তাঁর গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। সেই বিষয়ে আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। শুক্রবার অভিযোগ দায়ের করার পর রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ আনোয়ার হোসেন মন্ডল তার দলবল নি বোমা পিস্তল সহ আমাদের বাড়িতে এসে ব্যাপক ভাঙচুর করে। গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়।

ভেতরের দরজা কোনরকম বন্ধ রাখার কারণে আমরা প্রাণে বেঁচে যাই। আমরা ফের তার নামে অভিযোগ দায়ের করছি।' অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেটে লাথি মেরে তার গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট করে দেওয়ার ঘটনাকে চরম পাশবিক বলে আখ্যা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী আমিরুল ইসলাম মন্ডল। তার বক্তব্য,' এই ধরনের ঘটনা মানা যায় না।

আবার সেই ঘটনার অভিযোগ দায়ের করার পর শুক্রবার রাতে তাদের বাড়িতে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। এই পরিবারটি চরম আতংকের মধ্যে রয়েছে।তবে আইনের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। যে এই কাজ করুক, আইন আইনের পথে চলুক।' মান্নান শেখ বলেন রমজান মাসেও আতঙ্কের কারণ এ বাড়িতে ঢুকতে পারছি না পরিবার নিয়ে।