Santipur | প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা ফ্যানের হাওয়া পেলেও ব্রাত্য অঙ্গনারী শিক্ষার্থীরা

Santipur | প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা ফ্যানের হাওয়া পেলেও ব্রাত্য অঙ্গনারী শিক্ষার্থীরা

মলয় দে  শান্তিপুর:-   বই নিয়ে স্কুলে পড়াশোনা নয় চলছে হাওয়া খাওয়া। শান্তিপুর পৌরসভার দু নম্বর এবং তিন নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থলে অবস্থিত বাইগাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলে 202 এবং 432 নাম্বার অঙ্গনওয়ারী সেন্টার। শতাধিক শিশু নিয়ে চলে এই সেন্টার। একই ঘরে সকালে  চলে অঙ্গনওয়াড়ি দুপুরে প্রাথমিক বিভাগ । ক্লাসরুম গুলিতে পাখা লাগানো থাকলেও সেগুলি প্রাথমিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ।

অঙ্গনারী শিশুরা লাইট পাখা থেকে বঞ্চিত দীর্ঘদিন ।প্রতিবার গ্রীষ্মকালে একই সমস্যা হওয়ার কারণে, প্রায়শই অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুরা। অঙ্গনওয়াড়ি শিশুর অভিভাবকরা  বারংবার বলেও সমস্যার সমাধান হয়নি, তাই বাধ্য হয়ে তারা আজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেটে ধরনা দিয়েছেন, ফ্যান চালানোর দাবিতে।

অভিভাবকদের সাফ কথা, প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিল দেবে না অঙ্গনওয়াড়ি দেবে সেটা আমাদের জানার কথা নয়, এই গরমের মধ্যেও কেনো ইলেকট্রিক বন্ধ রাখা হয়েছে তার কৈফত চাই। ছোট ছোট দুধের শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে, আর কিছুক্ষণ বাদেই প্রাইমারি স্কুলের অপেক্ষাকৃত বড় শিশুদের ফ্যানের হাওয়া দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সকালে তিন ঘন্টা করে  দুটি ফ্যান এক মাস চলালে সর্বোচ্চ 100 টাকা বিল আসতে পারে বাড়তি, জাতির মেরুদন্ড হিসেবে আখ্যায়িত করা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে এটুকু কি আশা করা যায় না?

বরং কতটা অমানবিক হলে প্রচণ্ড দাবদাহে এরমধ্যে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রাখতে পারে তা আমাদের জানা নেই ।এ ব্যবস্থার প্রতিকার চাই। সীমা সাহা অধিকারী এবং শম্পা মাহাতো দুই অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকারা জানান, লিখিতভাবে কোনদিন জানানো হয়নি, তবে মৌখিকভাবে স্থানীয় কাউন্সিলর আইসিডিএস অফিস সব জায়গায় জানিয়েছি কেউ কোনো গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি আর আমাদের ক্ষেত্রে জবাবদিহি করতে হয় প্রতি মুহূর্তে স্বল্প মাইনে থেকে আমাদের দেখার পরিস্থিতি না থাকলেও প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকারা  দিতেই পারেন।

এ বিষয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষিকা আলপনা বিশ্বাস জানান আমাদের প্রাথমিক বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকারা দিতে রাজি হলেও  অঙ্গনওয়াড়ি দিদিমণিরা রাজি হচ্ছেন না, অথচ এই সামান্য অর্থ বিল দেওয়ার জন্য বাচ্চারা যে গরমের মধ্যে ক্লাস করেন সে কথা স্বীকার করেন তিনি। । যেখানে মুখ্যমন্ত্রী স্কুলছুট বাচ্চাদের স্কুলে ফেরানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন,

সেখানে ন্যূনতম এই পরিষেবার জন্য স্কুলে ভর্তি হচ্ছেন না অনেকেই এমনটাই জানালেন অভিভাবকরা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী এগারোটার মধ্যে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও, ওই বিদ্যালয়ে মোট 5 জন শিক্ষক শিক্ষিকা থাকলেও এগারোটার মধ্যে একমাত্র রহমত আলী, সাড়ে 11 টার মধ্যে সাথী ভদ্র এবং প্রধান শিক্ষিকাকে কে ছাড়া বাকি 2 শিক্ষককে বেলা বারোটা পর্যন্ত সময়েও উপস্থিত হতে দেখা যায়নি।

স্কুলে দেরিতে আসার বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নেন প্রধান শিক্ষিকা। প্রাথমিক বিভাগের শিশুদের স্কুলের ঢুকতে দিলেও স্কুলের গেটে  শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আটকে দেন অভিভাবকরা, ঘটনাস্থলে শান্তিপুর থানার শান্তিপুর থানার পুলিশ এসে পৌঁছায়, তাদের মধ্যস্থতায় আগামী কাল থেকে ফ্যান চালানোর স্বীকারোক্তি করেন প্রধান শিক্ষিকা। এত কিছু ঘটে গেলেও স্থানীয় দুই কাউন্সিলর কাউকেই দেখা যায়নি।