বহু প্রাচীন শান্তিপুরের বাসন্তী পূজা

বহু প্রাচীন শান্তিপুরের বাসন্তী পূজা

শুরু হলো বসন্ত কালীন দুর্গোৎসব অর্থাৎ বাসন্তী মাতার আরাধনা । ইতিহাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে রাজা সুরথ এই মাতৃ আরাধনার সূচনা করেছিলেন । আবার কৃত্তিবাসী রামায়ণের কাহিনীর থেকে জানা যায় রাক্ষস রাজ রাবণ এই পূজো প্রথম  শুরু করেছিলেন । যদিও পরবর্তী কালে রামচন্দ্র দুর্গা পুজো করেছিলেন শরৎ কালে যেটা অকাল বোধন হিসাবে পরিচিত ।

আমাদের আপামোর বাঙালির কাছে শরৎ কালের দুর্গা পুজো যথেষ্ঠ জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও প্রাচীন তার নিরিখে এই বসন্ত কালীন বাসন্তি পুজোর যথেষ্ঠ গুরুত্ব রয়েছে । শান্তিপুর শহর অন্তর্গত ফটক পাড়ার ও বুড়ো শিব তলার মধ্যবর্তী অঞ্চলে যথেষ্ঠ আড়ম্বরের সাথে অনুষ্ঠিত হয় তাছাড়াও শান্তিপুর থানার মোড় অঞ্চলে এই বাসন্তী মাতার আরাধনা পরিলক্ষিত হয় ।

শারদীয় দুর্গোৎসবের মতোই পাঁচ দিন ব্যাপী চলে এই অনুষ্ঠান । দুর্গা পুজোর মত অষ্টমীর দিনে বাসন্তী পুজোতেও নানাবিধ ভাজা ও পরমান্ন সহ ভোগ নিবেদন করার রীতি বিদ্যমান রয়েছে । এছাড়াও এদিন অনুষ্ঠিত হয় সন্ধিপূজা । এছাড়াও নবমীর দিন প্রাচীন রীতি অনুসারে চলে রাম নবমীর পূজা । পরের দিন অর্থাৎ দশমীর দিনে বাসন্তী মাতার বিসর্জন পর্ব অনুষ্ঠিত হয় ।

তবে এই বাসন্তী পুজোর প্রথম দিন অর্থাৎ অশোক ষষ্ঠীর দিন শান্তিপুর ফটক পাড়া সংলগ্ন বাসন্তী তলা অঞ্চলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শান্তিপুরের বিধায়ক শ্রী ব্রজ কিশোর গোস্বামী এবং শান্তিপুর পৌর সভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ এবং ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিক প্রামাণিক । উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে  তারা মঞ্চে যা জানালেন আমরা দেখে নেবো একনজরে  ।