Purba Bardhaman | ঋণের দায়ে আত্মঘাতী কৃষক

Purba Bardhaman | ঋণের দায়ে  আত্মঘাতী কৃষক

মর্মান্তিক! চাষের কাজে বারংবার লোকসান। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী কৃষক। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। মৃত কৃষকের নাম খোকন বাগ (৪৭)। বাড়ি কালনার সুলতান পঞ্চায়েতের উপলতি গ্রামের। জানা গিয়েছে, ন’বিঘা জমিতে আলু ও ধান চাষ করছিলেন। কিন্তু তাতে লাভ তেমন কিছু আসেনি। নিজের থাকা বেশ কিছুটা জমি তিনি বন্ধক রেখেছিলেন আশি হাজার টাকার বিনিময়ে।

তবে কয়েকদিন আগে ঝড়-বৃষ্টির জেরে তার ফলানো সব ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর আগে আলুর চাষও করেছিলেন। দু’বার সেই ফলন নষ্ট হয়ে যায়। আর্থিক লোকসান ও ধার করা টাকা পরিশোধ নিয়ে কয়েকদিন ধরে চিন্তায় ছিলেন। এরপর, শনিবার সকালে তাঁর বাড়ি থেকে দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়।

পরিবারের সদস্যরা জানার সঙ্গে-সঙ্গে তাঁকে কালনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃতদেহ কালনা মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এই বিষয়ে ওই কৃষকের আত্মীয় বলেন, ‘চারিদিকে ধারদেনা ছিল চাষের। আশি হাজার টাকা বন্ধক রয়েছে জমিতে। তারপর আলু চাষে এতটা লোকসান। চাষ সেই রকম ভাল হয়নি।

এই সব কারণেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’ বস্তুত, কয়েক মাস আগের ঘটনা। পশ্চীম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থেকে কৃষকের আত্মহত্যার খবর সামনে এসেছিল। জানা গিয়েছে, আলু চাষের ক্ষতি হওয়ায় আত্মহত্যা করেন চাষী। একদিকে ব্যঙ্কের ঋণ,অন্যদিকে চাষের ব্যাপক ক্ষতি। সব মিলিয়ে ঋণের বোঝার মধ্যে পড়ে আত্মঘাতী হলেন তিনি।

শুধু এই বছর নয়, আগের বছরও ভরা মরশুমে ব্যপক ক্ষতি হয়েছিল চাষের। কখনও অকাল বৃষ্টি, কখনও বা ক্ষরা এই করে-করেই শেষ শস্যের ফলন। মাথায় হাত পড়েছিল কৃষকদের। ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলেন তারা। এবার ফলন নষ্ট হলে কীভাবে চলবে সংসার, কেমন করেই বা ঋণ মেটাবেন সেই ভেবেই অবশেষে চরম সিদ্ধান্ত নেন কৃষকরা।