Hanskhali News | নাবালিকাকে ধর্ষণ তৃণমূল নেতার ছেলে, রক্তপাত, মৃত্যু! জোর করে দাহ

Hanskhali News | নাবালিকাকে ধর্ষণ তৃণমূল নেতার ছেলে, রক্তপাত, মৃত্যু! জোর করে দাহ

নাবালিকাকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, অত্যধিক রক্তপাতে ওই নাবালিকার মৃত্যুও হয়েছে। এমনকি রাতারাতি ওই নাবালিকার দেহ জোর করে দাহ করানোর অভিযোগও উঠেছে ওই তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। গত সোমবার এই কাণ্ড ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালি Hanskhali ব্লকের গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামনগর এলাকায়। তা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

অভিযোগ উঠছে, হাঁসখালি Hanskhali এক নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য সমর গোয়ালার ছেলে ব্রজগোপাল গোয়ালার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গত সোমবার ব্রজগোপালের জন্মদিনের পার্টি ছিল। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয় বগুলার বাসিন্দা ওই নাবালিকাকে। নাবালিকার পরিবারের দাবি, ওই রাতে এক জন মহিলা এবং কয়েক জনকে দিয়ে মেয়েকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল।

নাবালিকার বাড়ির লোকজনের দাবি, তাঁরা জানান, পার্টিতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। নাবালিকাকে স্থানীয় কোনও ‘হাতুড়ে ডাক্তার’-এর কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয় বলে দাবি নাবালিকার পরিবারের। তাঁদের ওই নাবালিকাকে হাসপাতাল বা বেসরকারি কোনও হাসপাতালে নিয়ে যেতে ‘নিষেধ’ করা হয় বলেও অভিযোগ পরিবারের। ওই নাবালিকাকে স্থানীয় এক হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান তার পরিবারের লোকজন।

কিন্তু ওই নাবালিকাকে বাঁচানো যায়নি। মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়। অত্যধিক রক্তপাতে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয় বলে পরিবারের দাবি। তার পরিবারের সদস্যদের আরও অভিযোগ, মঙ্গলবার মেয়ের মৃত্যুর পর জোর করে তার দেহ স্থানীয় শ্মশানে দাহ করিয়ে দেন ওই তৃণমূল নেতা এবং তাঁর দলবল। নাবালিকার পরিবারের দাবি, মেয়ের মৃত্যুর পর থেকে তাঁরা আতঙ্কে ছিলেন।

কোনরকম ডেট সার্টিফিকেট ছাড়াই স্থানীয় শ্মশানে তার মৃতদেহ জ্বালিয়ে দিতে বাধ্য হয় পরিবার। এমনকি প্রমাণ লোপাটের জন্য চিতাভষ্ম পর্যন্ত সরিয়ে ফেলা হয়। শ্মশানের কর্মকর্তা পলাতক। গ্রামের মধ্যে ঘটনা ঘটা সত্ত্বেও স্থানীয় প্রধান এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মুখে কুলুপ এঁটেছে। ঘটনা এলাকাবাসীর কানাঘুষো তে পৌঁছে যায় চাইল্ড লাইনের কাছে।

হাঁসখালী থানায় চাইল্ড লাইনের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ জমা করা হয় গতকাল। এরপর হাঁসখালি থানার পুলিশ আজ সকালে পৌঁছায় ওই পরিবারের এবং তাদেরকে জোরপূর্বক থানায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করলে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তা ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে গ্রামের ভিলেজ পুলিশের  মাধ্যমে Hanskhali হাসখালি থানার কাছে কি কোন তথ্য ছিল না এতদিন?

 সুয়োমোটো এফআইআর কেন হলো না? শুধুমাত্র শাসক তৃণমূল দলের পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ার কারণেই এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি? ডেট সার্টিফিকেট ছাড়াই কেন মৃতদেহ সৎকার? শ্মশান কর্তৃপক্ষই বা কেন পলাতক? ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি কেউ। সাংসদ জগন্নাথ সরকার ঘটনাস্থলে পৌঁছখচ্ছেন বলে জানা গেছে।

 নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। তাঁদের আরও দাবি, তৃণমূল নেতার ছেলের জন্মদিনের ওই পার্টিতে পাঁচ জন পুরুষ ছিলেন। তাদের মধ্যে ৫২ বছর বয়সি এক প্রৌঢ়ও ছিলেন। তাঁরা পুলিশের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, হাঁসখালি থানার ওসি মুকুন্দ চক্রবর্তী গণধর্ষণের অভিযোগ নিতে চাননি। যাঁর ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই তৃণমূল নেতা ব্রজগোপালের বক্তব্য, ‘‘মেয়েটির সঙ্গে আমার ছেলের সম্পর্ক ছিল বলে শুনেছি। তববে ওই দিন বাড়িতে কোনও পার্টির আয়োজন করা হয়নি। যদি ওরা পার্টির আয়োজন করে থাকে তবে সেটা বন্ধুমহলে। আমার তা জানা নেই।’’