হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে আরও তিন অভিযুক্ত

হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে আরও তিন অভিযুক্ত

রবিবার হাঁসখালিকাণ্ডের আরও তিন অভিযুক্ত ধৃতকে রানাঘাট আদালতে তোলা হলে চারদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। হাঁসখালির নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে একটি অডিয়ো রেকর্ড ভাইরাল হয়, সেখানে ধৃতদের মধ্যে দু’জনের কথোপকথন ছিল। সূত্রের খবর, এই তিনজনের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাট, হুমকি দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে।

এরপরই তাঁদের খোঁজে ছিল তদন্তকারীরা। এই নিয়ে মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করা হল এই ঘটনায়। এরমধ্যে ৪ জনকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। হাঁসখালিতে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। বন্ধুর জন্মদিনের পার্টি থেকে ফেরার পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। সেদিন রাতেই তার মৃত্যু হয়। ভোরের আলো ফোটার আগে দেহ দাহও করে ফেলে পরিবার।

৫ এপ্রিলের ঘটনা। এরপর প্রায় সপ্তাহ ঘোরার মুখে প্রথমবার সামনে আসে বিষয়টি। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল ওঠে। পরিবারকে হুমকি দিয়ে মুখ বন্ধ করিয়ে রাখা, রাতারাতি দেহ দাহ করানোর জন্য বাধ্য করার মতোও অভিযোগ ওঠে। পুলিশি তদন্তের বদলে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের কথা বলে।

একইসঙ্গে হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবার ও তার সাক্ষীদের নিরাপত্তার যাবতীয় ব্যবস্থা রাজ্যকেই করতে হবে বলে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। গত ১২ এপ্রিল এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরইমধ্যে একাধিকবার ঘটনাস্থলে গিয়েছেন তদন্তকারীরা।

নিহতের পরিবার, পরিচিতদের বয়ান রেকর্ড হয়েছে। শ্মশানস্থল, বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে নমুনা। বেড়েছে গ্রেফতারির তালিকাও। সিবিআই তদন্ত ভার নেওয়ার পর প্রথমে দুই ধৃতকে পুলিশের হাত থেকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। এরমধ্যে তৃণমূল নেতার ছেলেও রয়েছে। তাদের জেরা করেই উঠে আসে একের পর এক নাম। রবিবার তিনজনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। অভিযোগ, এই তিনজন শ্মশানে দাহ করার ক্ষেত্রে জোর খাটিয়েছিল। এমনকী নিহতের পরিবারকে হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ।