হরিশ্চন্দ্রপুর সদরে অমিল পানীয় জল,শুরু রাজনৈতিক তরজা

হরিশ্চন্দ্রপুর সদরে অমিল পানীয় জল,শুরু রাজনৈতিক তরজা

 তনুজ জৈন   হরিশ্চন্দ্রপুর :   মালদহের Harishchandrapur হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় হরিশ্চন্দ্রপুর সদরে দীর্ঘদিন ধরে পরিস্রুত পানীয় জলের সমস্যা। থানা এলাকার একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত ঘরে ঘরে নলবাহিত পরিস্রুত পানীয় জলের পাইপ লাইন কাজ সম্পন্ন হলেও এখনো পর্যন্ত হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় জলের পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জল পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না।

এলাকার বাসিন্দা সহ বিরোধী পক্ষের অভিযোগ বিগত বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার বিজেপির ভোট ব্যাংক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই রোষে এলাকায় উন্নয়ন থমকে গিয়েছে। বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল থেকে শুরু করে এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা সমস্ত কাজই থমকে গিয়েছে ভোটের পর থেকে।

কারণ তৃণমূলের ভোট এলাকা থেকে কমে যাওয়াতেই শাসকদলের চক্রান্ত হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকা বঞ্চনার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ। হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার আশে-পাশে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের ট্যাপ কল বসলেও সদর এলাকা বঞ্চিত, ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার বাসিন্দারা। বাস স্ট্যান্ড, হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় পানীয় জল থাকলেও বিকল অবস্থায় পরে রয়েছে।

পাশাপাশি বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে নিকাশি নালার ব্যবস্থা। প্রায় ১২- ১৫ বছর বা তারও বহু আগে তৈরি জলাধার বা ট্যাপকল গুলি তৈরি হয়েছিল। সবই প্রায় অকেজো পরিত্যক্ত। সেই কলগুলিকে সংস্কার পর্যন্ত করা হয় নি। আগাছায় ভরে গেছে। এমনকি হাসপাতালের জলাধার গুলির অবস্থাও তাই। বহু জায়গায় পানীয় জলের পাইপ বন্ধ হয়ে গেছে বা ফেটে নষ্ট হয়েছে।

বার বার এই নিয়ে পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসন সর্বত্র দরবার করেও ফল মেলেনি। অদ্ভুত এক অঙ্গুলি হেলনে পানীয় জলের ব্যবস্থা হতে গিয়েও বন্ধ হয়ে গিয়েছে এই সব এলাকায়। তীব্র গরমে পুকুরের জল খেতেও বাধ্য হচ্ছেন কেউ কেউ। যদিও বিজেপির অভিযোগ সদর এলাকা থেকে শাসকদলের ঝুলিতে ভোট না মেলায় বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষদের, কাটমানি পেলে অনেকদিন আগে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়ে যেত খোঁচা বিজেপির।

অন্যদিকে বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই,মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়ন দেখে ভুলভাল বকছে বিজেপি,২০২৪ সালের মধ্যে বাড়ি বাড়ি ট্যাপ কল বসে যাবে বলে সাফাই শাসকদলের বিধায়কের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপির চাপানউতোর। স্থানীয় বাসিন্দা নমিতা দাস, পূর্ণিমা সাহারা জানান হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে পানীয় জলের পাইপ লাইন পৌঁছে গিয়েছে।

ব্যতিক্রম শুধু হরিশ্চন্দ্রপুর সদর। আমরা আশে-পাশের বিভিন্ন বাড়ি থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করছি। মাসে দশ পনেরো দিন পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হয় না। এই চরম গরমে আমরা প্রবল জল কষ্টে ভুগছি। জেলা বিজেপি সাংগঠনিক সম্পাদক রূপেশ আগারওয়াল বলেন সদর এলাকায় বিজেপির ভোট বেড়েছে। এই রাগে শাসকদল চক্রান্ত করে এলাকার উন্নয়ন বন্ধ করে দিয়েছে।

আগামী ৬ মাসের মধ্যে যদি হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার পানীয় জল এবং নিকাশি ব্যবস্থা স্বপক্ষে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বিজেপি কর্মী সমর্থক। এ প্রসঙ্গে এলাকার বিধায়ক তজমুল হোসেন জানান ২০২৪ সালের মধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।

রাজ্য-জুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়ন চলছে। হরিশ্চন্দ্রপুর সমানতালে এই কাজ হবে। বিজেপি ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। হরিশ্চন্দ্রপুরে পানীয় জলের সমস্যা প্রসঙ্গে পি এইচ ই দপ্তরের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পৃথ্বীশ ভট্টাচার্য বলেন, কিছু সমস্যা আছে। লোকসংখ্যা বেড়েছে। আরো বেশ কিছু প্রকল্প ধরা হয়েছে। পুরোনো প্রকল্প রেনোভেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।