অধ্যাপকের বাবার বার্ধক্য ভাতা চালু থাকার পরেও মায়ের বার্ধক্য ভাতা মঞ্জুর

অধ্যাপকের বাবার বার্ধক্য ভাতা চালু থাকার পরেও মায়ের বার্ধক্য ভাতা মঞ্জুর

 বিরোধীরা কাটমানি স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে থাকেন মাঝেমধ্যেই। শান্তিপুর পৌরসভা যখন স্বচ্ছতার জন্য গৃহ আবাস প্রকল্পের কাগজপত্র পৌরসভায় শিবির করে সরাসরি জমা নিচ্ছেন, বিভিন্ন ভাতা প্রাপকরা বেঁচে আছেন কিনা, অথবা তারা প্রকৃতপক্ষে ভাতা পাওয়ার উপযুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান। ঠিক তখনই চরম বেনিয়ম ধরা পড়লো আমাদের ক্যামেরায় ।

সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায় শান্তিপুর পৌরসভার 21 নম্বর ওয়ার্ডের ডক্টর বিসি রায় রোডের  বাসিন্দা মাধাই ঘোষ নিজে বার্ধক্য ভাতা উপভোক্তা বহুদিন আগে থেকে, স্ত্রী আভা ঘোষ বার্ধক্য ভাতার তালিকাভুক্ত হয়েছেন কয়েক বছর আগে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী  60 বছর অতিক্রান্ত হলে তবেই মেলে বার্ধক্য ভাতা, তাও যদি পারিবারিক আয়ের  উর্ধ্বসীমা, বাড়ির ভ্যালুয়েশন, পরিবারের সরকারি চাকরি কেউ করেন কিনা সে সমস্ত তথ্য যাচাই করে।

তবে এক্ষেত্রে পরিবারের একজন পৌরসভার কর্মী হওয়ার কারণেই হয়তো আজকের দিনে দাঁড়িয়েও  উপভোক্তার বয়স ঊণষাট, অথচ বহাল তবিয়তে প্রতিমাসে নিয়ম করে বিগত বেশ কয়েক বছর যাবৎ ভাতা পাচ্ছেন অধ্যাপকের পিতা মাতা দুজনেই। তবে বিষয়টি জানাজানি হয়েছে, সম্প্রতি পৌরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি সার্ভে করতে গিয়ে।

শুধু এখানেই শেষ নয়, সু বিশাল অট্টালিকায় একই পরিবারে বসবাসকারী একমাত্র ছেলে সুমিত ঘোষ মুর্শিদাবাদ বেলডাঙা কলেজের অধ্যাপক, সুমিতর বাবুর বোনের অন্যত্র বিবাহ হয়ে চলে গেলেও সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তিনিও। ঘটনা জানাজানি হতে এলাকার দরিদ্র বয়স্করা ঘোষ পরিবারের গগনচুম্বী অট্টালিকার দিকে আঙুল তুলেছেন অনেকেই, তারা বলেন ওই পরিবারের এক ভাইপো শান্তিপুর পৌরসভায় কর্মচারী হিসেবে কর্মরত হয়তো সেই কারণেই সঠিক অনুসন্ধান হয়নি।

আর আমাদের ষাটোর্ধ্ব হওয়ার পরেও দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে আবেদন জমা পড়ে রয়েছে শান্তিপুর পৌরসভায়। স্বজনপোষণ নাকি পৌর কর্মীদের উদাসীনতা ? আমরা খোঁজ নিয়েছিলাম শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ এর কাছে। তবে এ ব্যাপারে শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ  স্বীকার করেনিয়েই বলেন,

পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছি পৌর কর্মচারীদের, ভুল হলে নিশ্চয়ই শাস্তি পাবে। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা পৌরসভার কাউন্সিল মেম্বার শুভজিৎ দে, বৃদ্ধের বার্ধক্য ভাতা কথা জানলেও তার স্ত্রীর ভাতা সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে আমরা জানতে গিয়েছিলাম অধ্যাপক সুমিত ঘোষের বাড়িতে,

কথা প্রসঙ্গে তিনি মায়ের ভাতা সম্প্রতি বন্ধের বিষয়টি আলোচনা করার মাঝেই পিতার সরল মনে স্বীকার করে দেখিয়ে দেন তার  নিজের ভাতা প্রাপ্তির বিষয়টি। উত্তেজিত অবস্থায় অধ্যাপক সাংবাদিককে বক্তব্য তো দূরে থাক ছবি তুলতে পর্যন্ত বাধা দেন।