মালদায় তৃণমূল নেতার ভাঙাড়ি গোডাউন থেকে উদ্ধার শিব মন্দিরে চুরি যাওয়া ঘন্টা, গ্রেফতার ২

মালদায় তৃণমূল নেতার ভাঙাড়ি গোডাউন থেকে উদ্ধার শিব মন্দিরে চুরি যাওয়া ঘন্টা, গ্রেফতার ২

তনুজ জৈন  হরিশ্চন্দ্রপুর:    মালদহের Harishchandrapur হরিশ্চন্দ্রপুরের শিব মন্দির থেকে চুরি যাওয়া বহু মূল্যবান ঘন্টা সহ সোনা গয়না নগদ টাকা উদ্ধার করল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এই চুরির কিনারা করল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

তুলসিহাটা এলাকার এক তৃণমূল নেতার ভাঙাড়ি গোডাউন থেকে উদ্ধার হলো মন্দিরের তিনটি ঘন্টা। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকা দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে তিনটি বহুমূল্য ঘন্টা ও টাকা-পয়সা গয়নাগাটি সহ অন্যান্য সামগ্রী। ধৃত দুই ব্যক্তির নাম তপন দাস (২৬), অন্যজন হাসিমুদ্দিন বয়স(৩৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গত সোমবার গভীর রাত্রে শিব মন্দির থেকে স্টিলের গ্রিল কেটে বহু মূল্যবান তিনটি ঘন্টা এবং তার সঙ্গে গয়নাগাটি সহ বেশ কিছু নগদ টাকা চুরি যায়। ঘটনার অভিযোগ দায়ের করা হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নামে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল তুলসিহাটা এলাকার এক স্থানীয় তৃণমূল নেতা হাসিমুউদ্দিনের ভাঙ্গারীর দোকানে হানা দিয়ে তিনটি ঘন্টা উদ্ধার করে তারপরে চুরির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত থাকা তপন দাস কে গ্রেপ্তার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ।

জানা যায় তপন দাস নামে ওই ব্যক্তি ঘন্টাগুলি চুরি করে হাসিমুউদ্দিনের ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রি করেছিল। তপন দাস কে চুরি এবং হাসিমুউদ্দিন কে চোরাই মাল কেনা বেচার অপরাধে গ্রেফতার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ। হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ সূত্রে খবর দুই জনকে চার দিনের পুলিশ কাস্টডিতে নেওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা সুবীর রায় চৌধুরী জানান হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার যুব সমাজের একাংশ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে।

নেশার টাকার যোগানের অভাব হওয়াতেই এরা বিভিন্ন মন্দিরের প্রণামের বাস্কে হাত দিচ্ছে। এই মন্দিরে ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এর পিছনে বড় মাথা রয়েছে। শাসকদলের নাম এতে জড়িয়ে যাওয়ায় আমরা এখন ভয়ে ভয়ে আছি। এ প্রসঙ্গে উত্তর মালদা জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুপেশ আগরওয়ালা জানান সত্যিই নিন্দা জনক ঘটনা।ত্রিপল চুরি ত্রাণের টাকা চুরি তে তৃণমূল নেতার নাম উঠে আসতো।

এখন তো দেখছি মন্দিরের ঘন্টা ও ছাড়ছে না। শাসকদলের মদদ না থাকলে এই ভাবে একজন তৃণমূলের নেতা চোরাই মাল কেনা-বেচা করতে পারত না। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান জানান যে গ্রেপ্তার হয়েছে সে কোন তৃণমূল করে না। এই ঘটনায় আইন আইনের পথে চলবে। দোষী দের কোন ছাড় দেওয়া হবে না।