বহরমপুরে ছাত্রী খুনে রাস্তায় অধীর রঞ্জন চৌধুরী

বহরমপুরে ছাত্রী খুনে রাস্তায়  অধীর রঞ্জন চৌধুরী

অতীতে যা কখনও ঘটেনি, তাই ঘটে গিয়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। যা নিয়ে গতকাল থেকে উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। এমতাবস্থায় এবার, বহরমপুরে(Behrampur) ছাত্রী খুনের প্রতিবাদে ক্রমেই সুর চড়াচ্ছে কংগ্রেস (Congress)। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি Adhir Ranjan Chowdhury অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

কংগ্রেস কর্মীদের পাশাপাশি অধীর শিবিরের এই মোমবাতি মিছিলে যোগ দেন বহু সাধারণ মানুষও। এদিকে এদিন মোমবাতি মিছিলে যোগ দেওয়ার আগে ঘটনা প্রসঙ্গে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় অধীর চৌধুরীকে। তাঁর নিজের এলাকায় এই ধরনের ভয়াবহ ঘটনা স্বপ্নাতীত বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় হাত শিবিরের এই প্রথমসারির নেতাকে।

সেই সঙ্গে গোটা রাজ্যে বেড়ে চলা নারী নির্যাতন নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশও করেন তিনি।ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুশান্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে বহরমপুর জেলা আদালত। প্রসঙ্গত, গতকাল ঘটনার পরেই বহরমপুরের যে এলাকায় এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটে সেখানে তত্‍ক্ষণাত্‍ পৌঁছে যান অধীর চৌধুরী।

ওই এলাকার অদূরেই বাড়ি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। এমনকী এখান থেকে নানা নির্বাচনী কার্যক্রম সামলেছেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়। সেখানে এই ঘটনা কীভাবে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে সেই প্রশ্নই বারেবারে তুলছেন তিনি। এমনকী গতকাল থেকেই এই ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায় নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুর চড়াতে থাকেন তিনি।

এদিনের মোমবাতি মিছিল থেকে মমতার সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা আসলে কতটা দুরাবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তাই প্রমাণ করছে এই ঘটনা। এই বাংলায় প্রত্যেকদিন কোথাও না কোথাও, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি হয়ে চলেছে। বহরমপুর শহর এই আঁচ থেকে কিছুটা হলেও দূরে ছিল।

তবে, যখন সারা বাংলায় আইনশৃঙ্খলার অবনিত হয়েছে তখন বহরমপুরও সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি, কিন্তু তা কখনও এই পর্যায়ে যাবে আমরা তা অনুমান করতে পারিনি। এই ঘটনা ঘটেছে একেবারে এসপি-র বাংলো থেকে ২০০ গজ দূরে। সেই সময় অক্ষয় তৃতীয়া, ঈদের বাজারে সরগরম বহরমপুর, চারিদিকে চলছে সিসিটিভির নজরদারি, কিন্তু তারমধ্যে এক ছাত্রী কুপিয়ে খুন করে কী করে গা ঢাকা দিল আততায়ী?এই ঘটনা দেখে স্তম্ভিত বহরমপুরবাসী”।