মালদহে কংগ্রেস-তৃণমূল ছেড়ে আম আদমি পার্টিতে যোগ দিল শতাধিক কর্মীর

মালদহে কংগ্রেস-তৃণমূল ছেড়ে আম আদমি পার্টিতে যোগ দিল শতাধিক কর্মীর

শেষ বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) হোক, পুর নির্বাচন, এমনকী সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচন, প্রতিবারই বাংলায় উঠেছে ঘাসফুল ঝড়। কিন্তু পাঁচ রাজ্যের বিধানসভায় বিজেপি (BJP) নতুন করে ঘুরে দাঁড়ালেও কংগ্রেসকে হটিয়ে পঞ্জাবের (Punjab) মসনদে বসেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম-আদমি পার্টি (Arvind Kejriwal’s AAP)।

তারপর থেকে নতুন উদ্যোমে বাংলায় সংগঠন বিস্তারে মন দিয়েছে অরবিন্দ শিবির। এমতাবস্থায় এবার মালদহের (Malda) হরিশচন্দ্রপুরে তৃণমূল এবং কংগ্রেস ছেড়ে শতাধিক কর্মী সমর্থক যোগ দিলেন আপে। যা নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। আপের উত্থানে বাংলার শাসক শিবিরের অস্বস্তি যে গত মাস থেকে বাড়তে শুরু করেছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিকে বছর ঘুরতেই রয়েছে বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানেও মাটি শক্ত করতে এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী সব শিবিরই। এদিন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে এক সাংগঠনিক সভায় দুই দলের প্রায় শতাধিক কর্মী সমর্থক আম আদমি পার্টিতে যোগদান করেন। যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলার আম আদমি পার্টির নেতা সহরাফ আলী।

মূলত তাঁর উদ্যোগেই চলে এদিনের যোগদান মেলা। সহরাফের সাফ দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ‘ভালো’ সম্পর্ক থাকলেও ভোটের লড়াইয়ে কোনও আপোষ করবে না তাদের দল। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সংগঠনের ভবিষ্যত্‍ ও গতিপ্রকৃতি নিয়ে এদিনের সভায় আলোচনা হয়।

আজ দৌলতনগর, হিঙ্গল, অলোকা, মুশালধার সহ একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। এই সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে অনেকেই আজ থেকে আমাদের দলের সদস্য হলেন। আমরা মনে করি যে ভাবে মানুষ আমাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন তাতে শীঘ্রই বাংলার মাটিতে রাজ করতে পারবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল’।