বিজেপির হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ

বিজেপির হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ

বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহের সুর শোনা গিয়েছে অনেক দিন ধরেই। শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন কেউ-কেউ। আর উপ-নির্বাচনের ফল প্রকাশ্যের পর ক্ষোভ যেন আরও প্রকট হয়েছে। দলের বিধায়ক, সাংসদদের গলাতেই শোনা যাচ্ছে বিক্ষোভের সুর। শনিবার আসানসোল ও বালিগঞ্জের উপ নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর সরাসরি দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

তারপর দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। সেই ধারা অব্যাহত রেখে বিজেপির হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ Siliguri MLA Shankar Ghosh। বিজেপির অবজারভার গ্রুপ থেকে এবার নিজেকে সরিয়ে নিলেন বিধায়ক শঙ্কর। গোটা রাজ্যেই টালমাটাল পরিস্থিতি বিজেপির অন্দরমহলে। তারই ছোঁয়া শিলিগুড়িতে।

বিজেপির রাজ্য সম্পাদক ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ তিনি বেশ কিছু হোয়াটস অ্যাপ থেকে কার্যত লেফট হয়ে গিয়েছেন। কেন এই লেফট? শঙ্কর বলেছেন, “নির্বাচন বা বড় কোনও ইভেন্ট থাকলে সেই সময় বেশ কিছু গ্রুপ তৈরি করা হয়। এবার সেই ইভেন্ট মিটে গেলে গ্রুপগুলির প্রয়োজনীয়তা থাকে না। সেি কারণে আমরা বেশ কিছু গ্রুপ লেফ্ট করেছি।” তবে ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই একই ক্ষোভের আঁচ শিলিগুড়িতেও।

এখানে যেমন আদি বিজেপি কর্মীরা বাড়িতে বসে গিয়েছেন, দলের কোনও কাজে যোগ দিচ্ছেন না। তেমনই যাঁরা নতুন করে বিজেপিতে এসেছিলেন তাঁরা এবার হতাশ পড়েছেন একের পর এক নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের কারণে। একসময় যে উত্তরবঙ্গ বিজেপির গড় ছিল, সেই উত্তরবঙ্গে পুরভোটে শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। বিজেপির শঙ্কর ঘোষ পুরভোটে প্রার্থী হন।

তিনি তাঁর নিজের ওয়ার্ডে চতুর্থ স্থানে চলে যান। সেই কারণে সব মিলিয়ে কোথাও একটা হতাশার ছবি, কোথাও একটা সাংগঠনিক দুর্বলতার ছবি ক্রমশ প্রকাশ হচ্ছে। ফলে রাজনৈতিক ভাবে যাঁরা বিজেপির সঙ্গে এই মূহুর্তে রয়েছেন তাঁদের মধ্যেও কোথাও-কোথাও হতাশা তৈরি হচ্ছে। এবং এই পরিস্থিতি যদি কাটিয়ে ওঠা না যায়, তাহলে কিন্তু বিজেপির দুর্দিন আরও ঘনিয়ে আসছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ বলেন, “হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে পদত্যাগ করাই যায়। এই প্রসঙ্গে একটাই কথা বলার, যে গ্রুপ গুলি ব্যক্তিগত উদ্দেশে তৈরি করা হয় সেই গ্রুপগুলিতে থাকার কোনও প্রয়োজন ওঠে না। কিন্তু সাংগঠনিক জায়গা থেকে কেউ লেফট করতে পারে জানি না। একটা কঠীণ পরিস্থিতি দিয়ে দল যাচ্ছে। সংগঠনের অভ্যন্তরে যে কোনও ধরনের সমস্যা থাকুক না কেন, তা সংগঠনের ভিতরেই মিটিয়ে নেওয়ার জন্য উদ্যোগী হতে হবে।”