মালদায় প্যারোলে বাড়ি এসে বধু খুনের সাজাপ্রাপ্ত বৃদ্ধার মৃত্যু

মালদায় প্যারোলে বাড়ি এসে বধু খুনের সাজাপ্রাপ্ত বৃদ্ধার মৃত্যু

 তনুজ জৈন  মালদা : গতবছর লকডাউনে প্যারোল নিয়ে বাড়ি এসেছিলেন বধূ খুনে অভিযুক্ত বৃদ্ধা ও তার ছেলে। বাড়ি ফিরেই শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন ধরে চলছিল চিকিৎসা। গত পরশু রাত্রে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই বৃদ্ধাকে চাঁচল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। ঐ বৃদ্ধার নাম কলাবতী রায়(৭৭)। বৃদ্ধার বাড়ি Harishchandrapur News হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বরুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ডাঙ্গি গ্রামে।

২০০৯ সালে বধু হত্যার খুনে অভিযুক্ত হয়ে ২০১২সাল থেকে জেল হেফাজতে ছিলেন। গতবছর লকডাউনের সময় প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় ওই বৃদ্ধাকে। তার কিছু দিনের মধ্যেই বৃদ্ধার মৃত্যু ঘটলো। ২০০৯ সালে স্বামীনাথ রায়ের বউয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে।

বধুর শ্বশুর বাড়ির পরিবারের নামে খুনের মামলা রুজু হয়। ২০১২ সালে মৃত গৃহবধূর শাশুড়ি  কলাবতী রায় , ছেলে স্বামী নাথ রায় সহ মোট ছয় জনের নামে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজা ঘোষণা হয়। এতদিন তারা বহরমপুর সেন্টার জেলে সাজা ভোগ করছিলেন। গতবছর লকডাউনের সময় প্যারোলে বৃদ্ধা কলাবতী রায় এবং তার ছেলে স্বামিনাথ রায় মুক্তি পেয়ে বাড়ি আসেন।

গত পরশুদিন শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় কলাবতী রায়ের। তাকে চাঁচল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার গতকাল মৃত্যু ঘটে। পুলিশ কলাবতী রায়স মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ওই বৃদ্ধার ছেলে স্বামী নাথ রায় জানান আমরা খুনের অভিযোগে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে জেলের সাজা কাটছিলাম।

বাবা জেলেই মারা গেছেন। আমরা গতবছর লকডাউনের সময় থেকে প্যারোলে বাড়ি এসেছিলাম। গত পরশুদিন মা শারীরিক অসুবিধা অনুভব করায় আমরা হসপিটাল নিয়ে নিয়ে যায় সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। স্বামি নাথ রায়ের ভাগ্নে প্রহ্লাদ রায় জানান আমরা গত পরশুদিন জানতে পারি কলাবতী রায় অসুস্থ হয়েছেন। উনি ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই জেলে ছিলেন।

গত পরশুদিন আচমকা অসুস্থ হয় ওই বৃদ্ধা। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গতকাল মারা গিয়েছেন উনি। এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান বৃদ্ধা মহিলা প্যারোলে বাড়ি এসেছিলেন। শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে চাচোল মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু ঘটে। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।