মালদা-বিহার সীমান্তে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুই তৃণমূল কর্মী গ্ৰেফতার

মালদা-বিহার সীমান্তে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুই তৃণমূল কর্মী গ্ৰেফতার

তনুজ জৈন  হরিশ্চন্দ্রপুর : পঞ্চায়েত ভোটের আগে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার দুই তৃণমূল কর্মী। গোপন সূত্রে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও ছয়টি কার্তুজ সহ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করলো মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোরনাহি এলাকায় সাব ইন্সপেক্টর বিকাশ হালদার সঙ্গে বিশাল পুলিশবাহিনী অভিযান চালিয়ে ওই এলাকার স্ট্যান্ড থেকে সন্দেহজনক অবস্থায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এরপর তাদের জেরা করেই এই বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পাইপগান, একটি সেভেন এমএম পিস্তল এবং ছয় রাউন্ড কার্তুজ। ধৃতরা হলেন মোহাম্মদ সহিদুল করিম(৩০) হাসান জামান(৩২)। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বরনাহি গ্রামে। মঙ্গলবার ধৃত দুই জনকে চাঁচোল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান এই বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র গুলি ধৃতেরা কেন মজুদ করে রেখেছিল, কি পরিকল্পনা নিয়েই হরিশ্চন্দ্রপুরের ওই এলাকায় জড়ো হয়েছিল। কিন্তু তাদের এই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে তৃণমূল কর্মী গ্রেপ্তার হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবে আক্রমণের সুর চড়িয়েছে জেলা বিজেপি।বিজেপি নেতা কিষান কেডিয়ার অভিযোগ সামনে পঞ্চায়েত ভোট মানুষ যেন ভোট না দিতে পারে, এলাকায় সন্ত্রাস চালানোর জন্য আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ করে রাখছে তৃণমূল।

যদিও তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবে অস্বস্তিতে পড়েছে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। আইন আইনের পথে চলবে,পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে। অন্যায় কে দল প্রশ্রয় দেয় না বলে সাফাই ব্লক সভাপতি হজরত আলীর। গোটা ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর।