গুগলে তাক লাগানো দেড় কোটি টাকা বেতনের চাকরি পেলেন কৃষ্ণনগরের দেবর্ষি!

গুগলে তাক লাগানো দেড় কোটি টাকা বেতনের চাকরি পেলেন কৃষ্ণনগরের দেবর্ষি!

কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান দেবর্ষি মৈত্র পেলেন গুগলে দেড় কোটি টাকা বেতনের চাকরি। দিন কয়েক আগে গুগলের তরফে ইমেল করে বিষয়টি জানানো দেবর্ষিকে। সন্তানের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দেবর্ষির মা এবং বাবা। ছেলের এই সাফল্যে মৈত্র পরিবারে খুশির হাওয়া। দেবর্ষির বাবা বাদল মৈত্র আগে গৃহশিক্ষকতা করতেন।

তবে আর্থিক টানাপড়েনের জেরে গ্রিলের দোকানও খোলেন তিনি। ছেলে ছাড়াও এক মেয়েও রয়েছে তাঁর। বাদল বাবুর বক্তব্য, ‘‘ছোটবেলা থেকেও ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে সাফল্যের বীজ আমি বুনে দিয়েছিলাম। এখন ওরা তার ফল পাচ্ছে। সন্তানদের স্বপ্ন দেখানো বাবা-মায়ের কাজ। বাকিটা ওরা নিজেই সামলেছে। তবে এত দূর ও যাবে এটা আশা করিনি।’’

Amazon-এ চলছে সেল, আজই কিনুন 

ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মায়ের কথায়, ‘‘সন্তানের সাফল্যে যে কোনও মা-ই খুশি হন। আমিও ভীষণ খুশি। তবে ও এত দূরে থাকবে ভেবে একটু কষ্ট হচ্ছে।’’ ঘূর্ণির মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান দেবর্ষি। এলাকায় কৃতী ছাত্র হিসেবে পরিচিতি তাঁর। কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল থেকে ২০১৬ সালের মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি।

ওই বিদ্যালয় থেকেই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন। চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার পর নিজেই গুগলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন দেবর্ষি। অনলাইন পরীক্ষায় কয়েক ধাপ এগোনোর পর চাকরি পাকা হয়ে যায় দেবর্ষির। তারপর স্নাতক স্তরে চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শেষে দেবর্ষি নিজেই গুগল-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

গুগলের গণ্ডি পেরোনো খুব একটা সহজ ছিল না। একের পর এক পরীক্ষা দিতে হয়। সমস্ত পরীক্ষা পেরিয়ে অবশেষে মনোনীত হন ঘূর্ণির যুবক।  দেবর্ষি শুধু গুগল (Google) নয়, বেঙ্গালুরুর একটি বড় কোম্পানি থেকে অ্যামাজনেও (Amazon) চাকরি পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন দেবর্ষির বাবা বাদলবাবু। তবে গুগল সবচেয়ে বড় সংস্থা হওয়ায় সেখানেই যোগ দিচ্ছেন দেবর্ষি।

তাঁর পোস্টিং পড়েছে লন্ডনে। শীঘ্রই সেখানে উড়ে যাবেন কৃষ্ণনগরের এই যুবক। দেবর্ষির মা বকুল মৈত্র বলেন, "ছেলে প্রতিষ্ঠিত হবে এটা জানতাম। কিন্তু এত ভাল, এত বড় চাকরি পাবে ভাবিনি। খুবই সাদামাটাভাবে বড় হয়েছে। তবে ছোট থেকে নিজস্ব চেতনাবোধ ভীষণ ছিল। সেটা দিয়েই, নিজের তাগিদেই আজ এই জায়গায় পৌঁছেছে।" কিছুটা খেলার সময় বাদ দিয়ে সারাদিন পড়াশোনা নিয়েই থাকতেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কিছুদিন ধরেই বলত, যদি এক কোটি টাকার চাকরি পেয়ে যাই, তাহলে করব।