কলি যুগে কি রুপে জন্ম গ্রহন করবেন ভগবান বিষ্ণু?

কলি যুগে কি রুপে জন্ম গ্রহন করবেন ভগবান বিষ্ণু?

ভগবান বিষ্ণুকে বলা হয় এই বিশ্বসংসারের পালনকর্তা। বলা হয় যে ভগবান বিষ্ণু যখন কোথাও কোন অধর্ম দেখেন তখনই তিনি স্বযং অবতার ধারন করে সেখানে ধর্মের স্থাপন করেন। তাই পুরান অনুযায়ী বিভিন্ন যুগে ভগবান বিষ্ণু ধর্মের স্থাপনের জন্য স্বয়ং নিজে দশটি অবতার ধারন করে অবতীর্ণ হয়েছেন এই মর্ত্যলোকে।  ভগবান বিষ্ণুর অবতারগুলি হল- মৎস্য , কূর্ম , বরাহ , নৃসিংহ , বামন , পরশুরাম , রাম , বলরাম , বুদ্ধ এবং কল্কি। এই প্রশ্নটি নিশ্চই আপনাদের মনে উঠেছে যে এই দশ অবতারের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের উল্লেখ নেই কেন? এর কারণ হিসাবে শ্রীমদ্ভাগবতপুরাণ অনুযায়ী বলা হয়েছে যে শ্রীকৃষ্ণ নিজেই ভগবান। আর বাকি অন্যান্য অবতারগুলি হল ভগবানের অংশবিশেষ। এই জন্য ভগবান বিষ্ণুর দশ অবতারের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের উল্লেখ করা হয় না। 

 মৎস্য  অবতার    বহু বহু বছর আগে এক ধার্মিক রাজা ছিলেন যার নাম ছিল সত্যব্রত। এই রাজার রাজত্বকালে সময় দেখা যায় নানারূপ অন্যায় - অত্যাচার পৃথিবীতে। তখন এই জগতের কল্যাণের জন্য রাজা সত্যব্রত ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেন। তারপর রাজা সত্যব্রত স্নান করতে একটি জলাশয়ে যান তখন স্নানের সময় একটি পুটি মাছ  রাজা সত্যব্রতের কাছে এসে প্রাণ ভিক্ষা চায়। তখন মাছটিকে রাজা তাঁর কমণ্ডলুতে করে তাঁর রাজপ্রসাদের নিয়ে আসেন। এরপর ওই মাছটির আকার অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই তাকে পুকুর , সরোবর, নদী  ইত্যাদি জায়গায় রাখা হয় কিন্তু ওই মাছটিকে যেখানেই রাখা হয় না কেন সেখানেই আর ধরে না। এই দেখে  রাজা বুঝতে পারলেন যে এই মাছটি নিশ্চই ভগবান বিষ্ণু। তখন  রাজা ওই মাছটির কাছে প্রার্থনা করেন তাঁর আসল রূপে আসার জন্য। তখন ওই মৎসরূপী ভগবান বিষ্ণু তাঁর সশরীরে আসে রাজা সত্যব্রতকে বলেন যে জগতের সাতদিনের মধ্যেই প্রলয় হবে। আর তখন একটি স্বর্ণতরী ঘাটে আসবে। সেই  স্বর্ণতরীতে সব রকমের জীবদম্পতি , খাদ্য - শস্য ও বৃক্ষবীজ সংগ্রহ করে এবং সমস্ত মানুষজনকে নিয়ে উঠে। সেই সময় ভগবান বিষ্ণু শৃঙ্গধারী মৎস্যরূপে আবির্ভূত হবেন। এবং নারায়ন বলেন যে  নৌকাটি যেন তাঁর শৃঙ্গের সঙ্গে বেঁধে রাখে। কিছুদিন পর  শুরু হল মহাপ্রলয়। মৎসরূপী ভগবান শ্রীবিষ্ণুর নির্দেশে কাজ করলেন রাজা সত্যব্রত। আর তাই ওই নৌকা এই মহাপ্রলয় ধ্বংস থেকে রক্ষা পেল। আর  এভাবেই উৎপত্তি হল মৎস্যরূপী ভগবান বিষ্ণুর অবতার। এই সৃষ্টিকে রক্ষা করলেন এবং বেদকেও সংরক্ষিত করলেন ভগবান বিষ্ণু।

 কুর্ম  অবতার    ভগবান বিষ্ণুর দ্বিতীয় অবতারটি হল কূর্ম অবতার। একবার দেবতাদের পরাজিত করে স্বর্গরাজ্য দখল করে নেন অসুরেরা। তখন  শ্রীবিষ্ণুর কাছে উপস্থিত হলেন ব্রহ্ম, ইন্দ্রসহ সমস্ত দেবতাগনেরা। শ্রীবিষ্ণুর কাছে উপস্থিত হলে তাদের উপর অসুরদের অত্যাচারের কথা জানালেন। তখন ভগবান বিষ্ণু দেবতাদেরকে পরামর্শ দিলেন সমুদ্র মন্থনের। এবং তিনি জানান যে ওই  সমুদ্র মন্থনের ফলে যে অমৃত উঠে আসবে তা পান করে দেবতাগণ অসুরদের পরাজিত করার শক্তি ফিরে পাবেন। এরপর শুরু হল সমুদ্রমন্থন। এই  সমুদ্রমন্থনের সময়, মন্থনকালে মন্দর পর্বত সমুদ্রের নীচে ঢুকে যাচ্ছিল। সেই সময় তখন ভগবান বিষ্ণু কূর্ম অবতার অর্থাৎ কচ্ছপের রূপ ধারন করে আবির্ভূত হয়ে পর্বত তাঁর পৃষ্ঠে ধারণ করেন। যার ফলে অমৃত প্রাপ্তি সম্পূর্ণ হয়। 

 বরাহ অবতার    ভগবান বিষ্ণুর তৃতীয় অবতারটি হল বরাহ অবতার। সত্য যুগে তিনি বরাহের রূপ ধারন করে আবির্ভূত হয়েছিলেন। পুরাণ অনুযায়ী,হিরণ্যাক্ষ নামক মহাশক্তিশালী অসুরের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে ভগবান বিষ্ণু এই বরাহ অবতার রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ওই হিরণ্যাক্ষ অসুর পৃথিবীকে মহাজাগতিক সমুদ্রের নীচে লুকিয়ে রেখেছিলেন। তখন বরাহ রুপী বিষ্ণু হিরণ্যাক্ষের সাথে ক্রমাগত হাজার বছর যুদ্ধ করে তাকে পরাজিত করেন এবং মেরে ফেলেন। এরপর ভগবান বিষ্ণু মহাজাগতিক সমুদ্রের নীচ থেকে পৃথিবীকে তুলে আনেন।

 নৃসিংহ  অবতার   শ্রীবিষ্ণু হিরণ্যকশিপুর  ভাই হিরণ্যাক্ষকে বধ করেছিলেন। এই কারন   হিরণ্যকশিপুর প্রচণ্ড বিষ্ণু বিরোধী হয়ে উঠছিলেন। আর এদিকে তাঁর একমাত্র পুত্র প্রহ্লাদ ছিল বিষ্ণুভক্ত। তাই তাঁর  পুত্রের বিষ্ণুভক্ত হওয়ার কারনে হিরণ্যকশিপু তাঁর পুত্রের উপর খুবই ক্রোধিত হয়ে গেছিলেন। এবং তাঁর পুত্রকে হত্যা করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু  তিনি যতবারই তাঁরপুত্র প্রহ্লাদকে হত্যা করতে যান ততবারই বিষ্ণুর মায়াবলে প্রহ্লাদের প্রাণ রক্ষা পেয়ে যায়। তারপর প্রহ্লাদকে হিরণ্যকশিপু বলেন যে তাকে যেন এই  ত্রিভুবনের অধিপতিরূপে স্বীকার করে নেয়। কিন্তু প্রহ্লাদ তা মেনে নেয় না। তিনি বলেন যে এই ব্রহ্মাণ্ডে একমাত্র ভগবান বিষ্ণুই সর্বোচ্চ প্রভু। এতে হিরণ্যকশিপু  খুব রেগে যান এবং তিনি একটি স্তম্ভ দেখিয়ে প্রহ্লাদকে জিজ্ঞাসা করেন যে সেখানেও ‘তার বিষ্ণু’ আছেন কিনা? তখন প্রহ্লাদ তাঁকে জানান যে  তিনি এই স্তম্ভে আছেন। হিরণ্যকশিপু তাঁর রাগ সংবরণ করতে না পেরে ওই স্তম্ভটিকে গদার আঘাতে ভেঙে দেন। তখনই ওই ভগ্ন স্তম্ভ থেকে আবির্ভূত হন ভগবান বিষ্ণুর নৃসিংহ অবতার। এই অবতারটি হল শ্রীবিষ্ণুর চতুর্থ অবতার। যাকে অনেকে নরসিংহও বলে থাকেন। এই অবতারটি হল অর্ধেক মানব ও অর্ধেক সিংহ। দেহ মানুষের মত এবং মাথা সিংহের মত। আবার নখ গুলি সিংহের মতো। নৃসিংহ তাঁর ভয়ঙ্কর নখ দিয়ে হিরণ্যকশিপুর বক্ষ বিদীর্ণ করে হিরণ্যকশিপুকে নিহত করেন ।

 বামন  অবতার   ত্রেতাযুগে ভগবান বিষ্ণু বামন রূপ ধারন করে অবতীর্ণ হন। অশুভ শক্তিকে দমন করে ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য ভগবান বিষ্ণু তাঁর পঞ্চম অবতার ধারন করে করেছিলেন। ত্রেতাযুগে  অসুরদের বলি নামের এক রাজা ছিলেন। দেবতাদেরকে পরাজিত করে তাদের কাছ থেকে স্বর্গরাজ্য কেড়ে নেন অসুররাজ বলি। স্বর্গ হারিয়ে দেবতারা বিপদে পড়েন । তখন দেবতাদের রক্ষায় অসুর বলিকে দমনের উদ্দ্যেশ্যে বামন অবতার রূপে বিষ্ণু জন্ম নেন। একদিন বামন গিয়ে ত্রিপাদ ভূমি চাইলেন বলি তা দিতে রাজি হলেন। একটি যজ্ঞের আয়োজন করলে অসুর অধিপতি। সেখানে বামন হাজির হয়ে তিন পা রাখার মত জমি চান। বামনকে ওই জমি দিতে রাজি হয়ে যান বলি। সেই সময় বামন তাঁর দেহ বর্ধিত করে বিশালাকার ধারণ করেন। তিনি তার এক পা স্বর্গে এবং আর এক পা মর্ত্যে রাখেন  এবং তাঁর তৃতীয় পা টি রাখার জায়গা না থাকায় বলি তার মাথার উপর রাখতে বললেন। তখন  বামনরূপী ভগবান বিষ্ণু বলির মাথায় পা রেখে তাকে পাতালে নামিয়ে দিলেন। এভাবেই অহংকারী অসুররাজ বলিকে দমন করলেন ভগবান বিষ্ণু। আর তার সাথে বামনরুপী ভগবান বিষ্ণু ফিরিয়ে দিলেন দেবতাদের হারানো স্বর্গরাজ্যকে।

 পরশুরাম অবতার   ত্রেতা যুগে কার্তবীর্য নামে এক সময়ে রাজা ছিলেন। যার নেতৃত্বে খুব অত্যাচারী হয়ে উঠেছিলেন ক্ষত্রিয়েরা। তখন মহর্ষি ঋচীক সমাজে ধর্মভাব জাগাতে তপস্যা করেন শুরু করেন। ভগবান বিষ্ণু তাঁর এই তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে ঋচীকের পৌত্র এবং জমদগ্নি ও রেণুকার পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করেন। তখন তাঁর নাম ছিল ভগুরাম। মহাদেবের উপাসক ছিলেন ভৃগুরাম। তাই মহাদেব ভৃগুরাম উপর তুষ্ট হয়ে তাঁকে দিলেন একটি পরশু। এই পরশুর অর্থ হল কুঠার। তখন থেকে এই পরশু হল তার অস্ত্র। তাঁর হাতে পরশু থাকার জন্য তার নাম হয় পরশুরাম। তাঁর হাতে পরশু থাকলে তাঁকে পরাজিত করতে পারবে না কেউ । একসময় এই ক্ষত্রিয় রাজা কার্তবীর্যের সাথে পরশুরামের পিতা জমদগ্নির  বিবাদ বেঁধে গেলে কার্তবীর্য পরশুরামের পিতা জমদগ্নিকে হত্যা করেন। পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে চান পরশুরাম। তারপর তিনি কুঠারের আঘাতে কার্তবীর্যকে হত্যা করেন । এরপর একুশবার পরশুরাম অত্যাচারী ক্ষত্রিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের ধ্বংস করেন। এবং পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।

 রাম  অবতার   ভগবান বিষ্ণুদেবের সপ্তম অবতার ছিল রামচন্দ্র। ত্রেতা যুগে লঙ্কাধিপতি রাবণের খুব শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। তারপর  তিনি তাঁর অত্যাচার শুরু করেন পৃথিবীতে এমনকি তিনি দেবতাদের উপরও অত্যাচার  করেন। এর ফলে সৃষ্টি হয় পৃথিবীতে অশান্তির। তখন রাজা দশরথের পুত্র হয়ে শ্রীবিষ্ণু রাম অবতার আবির্ভূত হন। তারপর রাম তাঁর পিতৃসত্য পালনের জন্য তাঁর স্ত্রী সীতা ও ভাই লক্ষ্মণকে নিয়ে বনবাসে চলে গিয়েছিলেন। তখন লঙ্কাধিপতি রাবণ মাতা সীতাকে বন থেকে অপহরণ করেন। এরপর শুরু হয় রাম ও রাবণের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে রাবণ নিহত হন এবং  রাম সীতাকে উদ্ধার করে নিজ রাজ্যে ফিরে আসেন।এভাবেই রাম অবতারে ভগবান বিষ্ণু স্বর্গ ও পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আসেন। 

 বলরাম অবতার    ভগবত গীতা অনুসারে দ্বাপর যুগে শ্রীবিষ্ণুর অষ্টম অবতার ছিল বলরাম। পৃথিবীকে অন্যায়ের হাত থেকে বাঁচাতে এবং পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ভগবান শ্রীবিষ্ণু বলরামরূপে অবতীর্ণ হন। শ্রীকৃষ্ণের বড় ভাই ছিলেন তিনি। গদাযুদ্ধে শ্রেষ্ঠ বীর ছিলেন বলরাম। তার হাতে থাকত একটি লাঙল। তিনি এই লাঙল বা হল আকৃতির অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করতেন । তাই তাকে হলধর বলা হয়।তিনি অনেক অত্যাচারীকে শাস্তি দিয়ে পৃথিবীতে শান্তি বজায় রাখেন।। কৃষ্ণের ভ্রাতা বলরামকেও অনেকে বিষ্ণু অবতার বলে মনে করেন। তবে এই নিয়ে রয়েছে বহু মতভেদ। অন্যদিকে বলায় হয় যে দ্বাপর যুগে অন্যায়ের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে শ্রীবিষ্ণু কৃষ্ণ অবতারে আবির্ভাব হয়েছিলেন। কিন্তু ভগবত গীতা অনুযায়ী কৃষ্ণ হলেন স্বয়ং ঈশ্বর কোন অবতার নয়। 

 বুদ্ধ  অবতার    ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতার মনে করা হয় গৌতম বুদ্ধকে। খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে মানুষের মাঝ থেকে হিংসা, নীচতা দূর করতে শ্রীবিষ্ণুর অবতার গৌতম বুদ্ধ। তিনি রাজা শুদ্ধোদনের পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করেন। এবং তখন তাঁর নাম রাখা হয় গৌতম। তবে তিনি পরে বোধি অর্থাৎ বিশেষ জ্ঞান লাভ করে গৌতম বুদ্ধ নামে পরিচিত হন । তিনি অহিংসার বাণী প্রচার করে মানুষকে শান্তির পথ দেখান । তাঁর ধর্মের মূল কথা ছিল , ' জীবসেবা ' এবং ' অহিংসা পরম ধর্ম । ' তিনি জীবসেবা ও অহিংসার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছেন । এই অবতার নিয়ে রয়েছে নানা মতভেদ। তবে বুদ্ধকে মহারাষ্ট্রে ও গোয়ায় বিভিন্ন মন্দিরে বিষ্ণুর নবম অবতার হিসেবে মানা হয়।এমনকি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেও বুদ্ধকে বিষ্ণুর নবম অবতার জগন্নাথ রূপে পূজা করা হয়।

  কল্কি  অবতার   শাস্ত্র অনুসারে ভগবান বিষ্ণুর দশ অবতারের উল্লেখ পাওয়া যায়। এরই মধ্যে যুগে যুগে পৃথিবীতে পাপের বিনাশ করে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ইতিমধ্যে তিনি  ৯ টি অবতারের রূপ ধারন করে এই পৃথিবীলোকে অবতীর্ণ হয়েছেন। এখন বাকি রয়েছে ভগবান বিষ্ণুর একটি মাত্র অবতার যা পাপের বিনাশ করতে এই কলিযুগে অবতীর্ণ হবে। কলিযুগে যখন তার চরম সীমায় পৌঁছে যাবে তখন ভগবান বিষ্ণু স্বয়ং কল্কি অবতারের রূপ ধারন করে কলিযুগের বিনাশ করবেন এবং ধর্ম যুগের সূচনা করবেন। এই কল্কি অবতার মানুষের কাছে আজও এক রহস্য। প্রত্যেকেই জানতে আগ্রহী যে ভগবান বিষ্ণুর কখন কল্কি অবতার নেবেন কোথায় নেবেন এবং তার রূপ কেমন হবে, তার বাহন কেমন হবে। যদিও এই মহান তথ্য শ্রীমদ্ভাগবত গীতা উল্লেখিত আছে। কল্কির বাহন হবে একটি সাদা রঙের ঘোড়া। এই ঘোড়ার নাম হবে দেবদত্ত। তিনি এই ঘোড়ার পিঠে চেপে খোলা তরবারী হাতে অবতরণ করবেন। বলা হয় যে তিনি জীবের দুঃখ দূর করার জন্য সচেষ্ট হবেন। তাঁর হাতে থাকবে খর্গ । এই খর্গ দিয়ে তিনি অত্যাচারী ব্যক্তিদের হত্যা করবেন এবং মানুষের দুঃখ দূর করে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করবেন।