শান্তিপুরে মদ্যপ অবস্থায় গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল যুবক

শান্তিপুরে মদ্যপ অবস্থায় গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল যুবক

এক মুহুর্তের আনন্দ বদলে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনায়। মদ্যপ অবস্থায় গঙ্গায় স্নান করতে নেমেই হল বিপত্তি। জলে নামতেই গঙ্গায় তলিয়ে গেলেন যুবক। কিন্তু কোনও রকম ভাবে খোঁজ মেলেনি তাঁর। ওই যুবককে বাঁচাতে গিয়ে অন্যজনও খাবি খাচ্ছিল। যদিও, কোনও রকম ভাবে তাঁকে বাঁচান সম্ভব হয়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, নিখোঁজের নাম বাপ্পা বসাক (২৩)।

তিনি শান্তিপুর থানা এলাকার প্রমোদনগরের বাসিন্দা। মঙ্গলবার দুপুরে বাপ্পা তাঁর দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে একটি বাইকে করে শান্তিপুর বড়বাজার গঙ্গার ঘাটে স্নান করতে যান। এবার স্নান করতে-করতেই হঠাৎই বাপ্পা টাল সামলাতে না পেরে জলে তলিয়ে যান। বাপ্পাকে তলিয়ে যেতে দেখে তাঁর অন্য এক বন্ধু বাঁচাতে যান। অভিযোগ, তিনিও জলে খাবি খেতে থাকেন।

তবে কোনও রকমে ওই বন্ধু প্রাণে বেঁচে ডাঙায় উঠে আসেন। এরপর, সবাই মিলে বাপ্পা বসাককে খুঁজতে শুরু করে। কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। জলে তলিয়ে যাওয়ার পরেই প্রাথমিকভাবে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ। কীভাবে বাপ্পা বসাক জলে তলিয়ে গেলেন তা জানার চেষ্টা করে তারা।

পরে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে বাপ্পা বসাকের বন্ধুরা স্বীকার করে নেয় যে,তাঁরা তিনজনই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। স্বভাবতই মদ্যপ অবস্থায় থাকার কারণেই ঘটেছে এই বিপত্তি। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের বয়স আনুমানিক ২৩ বছর। রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন তিনি।

এখন ওই যুবকের দেহর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। বাপ্পা বসাকের এক বন্ধু জানায়, ‘আমার চোখের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। স্নান করতে এসেছিলাম। সেই সময় হঠাৎ তলিয়ে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই…’ আর এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “স্নান করতে নেমেছিল তিনজন। একসঙ্গেই ছিল। সেই সময় হঠাৎ একজন তলিয়ে যাচ্ছিল। তাকে বাঁচাতে যায় অন্য আর একজন। কিন্তু জলের স্রোতে সেও তলিয়ে যায়। তবে দ্বিতীয় জনকে কোনও ভাবে বাঁচানো গেলেও আর একজনের হদিশ পাওয়া যায়নি।’