মুর্শিদাবাদে দেড় কোটি টাকার সোনা-হীরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

মুর্শিদাবাদে দেড় কোটি টাকার সোনা-হীরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

কলকাতার এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার সোনার গয়না ও হীরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল ৩ জনকে। ধৃতরা হল, হাবিব শেখ ওরফে বান্টি, সুরজ ইসলাম এবং মাসুম রেজা মণ্ডল। সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদের লালবাগ ও নওদা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে হীরে ও সোনার গয়নার বেশিরভাগটাই উদ্ধার করা হয়েছে।

মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার কে সবরী রাজকুমার জানান, সম্প্রতি গোপাল রানা নামে কলকাতার এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে একটি নামী স্বর্ণ সংস্থার নাম করে কয়েকজন ফোন করে। তারা জানায়, নিজেদের ব্র্যান্ডের একটি আউটলেট খুলতে চায় তারা এবং তার জন্য প্রচুর সোনা ও হীরের গয়না প্রয়োজন হবে। কয়েকবার কথাবার্তার পর ঠিক হয় ওই ব্যক্তিদের হাতে গোপালবাবু তাঁর দোকানের সোনা ও হীরের গয়না তুলে দেবেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপালবাবু ওই ব্যক্তিদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়েই এই কথাবার্তা চালিয়ে গিয়েছেন। পুলিশ সুপার জানান, গত ২৩ মার্চ গোপালবাবুকে সোনা এবং হীরের গয়না সহ হরিহরপাড়া থানার গজনীপুর-বেলতলা এলাকায় জিনিস ডেলিভারির জন্য ডাকা হয়। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপালবাবু তাঁর দু-তিনজন সহযোগীকে নিয়ে গজনীপুর এলাকায় একটি ফাঁকা জায়গাতে পৌঁছানোর পর কয়েকজন ব্যক্তি তাঁদের ঘিরে ফেলে এবং সমস্ত হীরে ও সোনার গয়না ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।

ওইদিনই গোপালবাবু হরিহরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পালের নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। এই চক্রের মূল পাণ্ডা হাবিব শেখ ওরফে বান্টি-কে গ্রেপ্তার করা হয়।

তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সুরজ ইসলাম এবং মাসুম রেজা মণ্ডল নামে অপর দুই ব্যক্তিকে নওদা থানার দুটি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছিনতাই হওয়া প্রায় ২০০টি সোনার গয়না এবং ১১৭টি হীরের মধ্যে প্রায় ৮১টি হীরে এবং ১২৯টি সোনার গয়না উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এই চক্রের সঙ্গে ৮-৯ জন জড়িত রয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে। ধৃত ৩ জনকে মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা হয়।