অবশেষে ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়ে দুর্ঘটনায় মালদার সাত জনকে উদ্ধার করল সেনা

অবশেষে ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়ে দুর্ঘটনায় মালদার সাত জনকে উদ্ধার করল সেনা

একটানা ২৫ ঘণ্টা। অবশেষে ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়ে দুর্ঘটনায় মালদার হরিশচন্দ্রপুরের সাত জনকে উদ্ধার করল সেনা। টানা প্রায় ২৫ ঘন্টারও বেশি সময় রোপওয়ের মধ্যে থাকতে হয়েছে তাঁদের। প্রত্যেকই আহত। তবে বাঁচোয়া গুরুতর কেউ নয়। বর্তমানে প্রত্যেকেই ঝাড়খণ্ডে হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন। তাঁদের মধ্যে তিন জন মহিলা, চারজন পুরুষ, পুরুষদের মধ্যে একজন কলেজ পড়ুয়া।

দিনটা ছিল ৯ এপ্রিল। মালদা হরিশ্চন্দ্র পুরের ভালুকা বাজার এলাকা থেকে রওনা দেন ৪২ জন পর্যটক। বাসে করে তাঁরা বাবাধাম ও দেওঘরের উদ্দেশে যান প্রথমে। দুর্ঘটনার দিন বিকেলে সেই ৪২ জনের মধ্যে সাত জন রোপওয়েতে ওঠেন। চারজন করে তোলা হচ্ছিল। তারপরই চরম ঘটনা। মঙ্গলবারের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁদের ঘরের দিকে রওনা করানো হবে বলেই জানা যাচ্ছে।

বস্তুত, রবিবার ঝাড়খণ্ডের দেওঘর জেলায় গতকাল বিকেলে ঘটে এক মারাত্মক দুর্ঘটনা। বৈদ্যনাথ মন্দিরের নিকট ত্রিকুট পাহাড়ে রোপওয়ে ছিঁড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে বেশ কয়েকজন পর্যটক। এই মারাত্মক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই মহিলাসহ ৪ পর্যটক। মঙ্গলবারও উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে হেলিকপ্টার থেকে নীচে পড়ে গিয়ে মৃত্যু মহিলার।

বায়ুসেনা সূত্রে খবর, কয়েকঘণ্টা আগেও আটকে ছিলেন চারজন। তাঁর মধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও একজন আটকে থাকেন সেখানে। প্রথমে মনে করা হয় এই চারজনকে একই সঙ্গে উদ্ধার করা হবে। কিন্তু পরে দেখা যায় একদিকে রয়েছে পাহাড় অন্যদিকে রয়েছে রোপওয়ের তার। কেবিনের সঙ্গে পাহাড়ের দূরত্ব খুব বেশি না থাকার কারণে হেলিকপ্টার নিয়ে নামতে অসুবিধা হচ্ছিল।

যার কারণে উদ্ধার করতে এতটা সময় লেগে গেল বায়ুসেনার বলে জানা যাচ্ছে। এবার আটকে পড়া ওই তিনজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, শেষ যখন আর একজন মহিলাকে উদ্ধার করার কাজ চলছিল। সেই সময় সূত্র মারফত জানা যায়, ওই মহিলা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছিলেন। তাঁকে নীচে নামানো খুবই দুষ্কর হয়ে পড়েছিল। সে ক্ষেত্রে তাঁকে বেঁধে যখন নামানো হচ্ছিল।

তখন মোটর কাজ করছিল না বলে খবর। এবং তাঁর যে শরীরের ওজন সেই ওজন মোটর নিতে পারছিল না বলেও জানা যাচ্ছে। সেই কারণে ওই জায়গাতেই তাঁকে নামানোর চেষ্টা করা হয় বলে সূত্রের খবর। তখনই বিপত্তি ঘটে। দড়ি ছিঁড়ে ১০০ ফুট উপর থেকে পড়ে যান ওই মহিলা। এলাকা সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে মহিলার। তড়িঘড়ি এনডিআরএফ দল গিয়ে পাহাড় থেকে মহিলার দেহ নিচে নিয়ে এসেছে। তত্‍ক্ষনাত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে বায়ুসেনার তরফ থেকে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়নি।