সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র এর প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র এর প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

  গ্রামের মানুষকে কথা দিয়েও সেই কথা রাখেনি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত। অভিযোগ তেমনই। গ্রামের মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্য গ্রামে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরিকে ঘিরে পঞ্চায়েতের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। উঠে আসছে প্রভাবশালী তত্ত্বও। সোমবার সেই গ্রাম পঞ্চায়েতেই আছড়ে পড়ল সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ। ঘটনা Bankura বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের উলিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের।

গ্রামের মানুষের কাছ থেকে নথি চেয়ে সেই গ্রামে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হবে, এমন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে। পরে এলাকার মানুষ জানতে পারেন ওই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নাম একই রাখা হলেও, তা তৈরি হচ্ছে অন্য গ্রামে। সোমবার সেই ক্ষোভে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে এসে প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা।

পঞ্চায়েতের ইঞ্জিনিয়ারকে ঘিরে রেখে বিক্ষোভ দেখালন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ওই পঞ্চায়েতের নারায়াণপুর সহ আশেপাশের একাধিক গ্রামের মানুষের সুবিধার কথা ভেবে নারায়ণপুরে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার আবেদন জানানো হয় গ্রামবাসীদের তরফে। সূত্রের খবর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য গ্রামবাসীদের কাছ থেকে কাগজপত্রও চাওয়া হয়।

সংশিষ্ট পঞ্চায়েতের ইঞ্জিনিয়ারের কাছে কাগজপত্র জমাও দেন নারায়ণপুরের বাসিন্দারা। অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট গ্রামে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র না গড়ে প্রভাব খাটিয়ে তা নিয়ে যাওয়া হয় পার্শ্ববর্তী গ্রাম হিংজুড়িতে। আর এতেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে সোমবার পঞ্চায়েতের অফিসের সামনে এসে চরম বিক্ষোভে নারায়াণপুর-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের।

নারায়ণপুর গ্রামে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন গ্রামবাসীরা, এমন হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন উলিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব অমৃতেশ্বর সেন। তিনি বলেন, “বিএমওএইচ-এর চিঠি এসেছে। আমি এর থেকে বেশি আর কিছু জানি না।”